কোকা-কোলা, ফান্টা ও স্প্রাইটের বিকল্প পানীয় আনল রাশিয়া
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের কারণে রুশ বাজার ছেড়ে গিয়েছিল কোকা-কোলা, ফান্টা ও স্প্রাইটের মতো বৈশ্বিক কোমল পানীয় সব ব্র্যান্ড। ধারণা করা হয়েছিল, বৈশ্বিক এসব ব্র্যান্ড বাজার ছেড়ে যাওয়ায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে মস্কো।
তবে ক্ষতি ঠিক কতটা হয়েছে সেটি পরিমাপ করার আগেই নামকরা এসব পানীয়র বিকল্প বাজারে এনেছে রুশ বেভারেজ প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমস।
গত সোমবার রাশিয়ার পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওচাকোভো কোকা-কোলা, ফান্টা ও স্প্রাইটের বিকল্প পানীয় চালুর ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, রুশ নাগরিকরা এখন থেকে বিশ্ববিখ্যাত এই তিনটি কোমল পানীয় ব্র্যান্ডের পরিবর্তে কুলকোলা, ফ্যান্সি এবং স্ট্রিট বেছে নিতে পারবেন।
মস্কো টাইমস বলছে, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জেরে মার্চ মাসে রাশিয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড স্থগিতের ঘোষণা দেয় কোকা-কোলা কোম্পানি। এরপর থেকেই রুশ বাজার থেকে বৈশ্বিক এসব কোমল পানীয় ব্র্যান্ড অনেকটা উধাও হয়ে যায়।
অবশ্য রাশিয়ার অনেক জায়গায় এখনও কোকা-কোলার পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে সেগুলোর দাম মোটামুটি ২০০ শতাংশ বেড়েছে।
ওচাকোভো বলছে, কোলা-কোলার বিকল্প হিসেবে তাদের আনা কুলকোলার মধ্যে ‘কোলার আইকনিক স্বাদ’ রয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে কমলা-গন্ধযুক্ত ফ্যান্সি এবং লেমন-লাইম স্ট্রিটের ব্র্যান্ডের বোতল ফান্টা ও স্প্রাইটের বোতলের রঙের অনুকরণে বাজারে আনা হয়েছে।
১৯৭৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ওচাকোভো মূলত শস্য-ভিত্তিক কেভাস এবং কম-অ্যালকোহলযুক্ত মধু পানীয় মেদোউখার মতো ঐতিহ্যবাহী রাশিয়ান পানীয় তৈরি করে থাকে। অবশ্য কোকা-কোলা রাশিয়ার বাজার থেকে সরে যাওয়ার পর ওচাকোভোর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সেই শূন্যস্থান দখলের চেষ্টা করেছে।
মস্কো টাইমস বলছে, কোকা-কোলার প্রস্থানের পর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যভিত্তিক বেভারেজ কোম্পানি স্লাভদা গ্রুপ গ্রিংক কোলা একটি পানীয় সামনে এনে সোডা প্রিয় রুশ নাগরিকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। এরপর চলতি মে মাসে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কোমি এলাকার সিক্টিভকারপিভো তার নিজস্ব পানীয় ব্র্যান্ড কোমি কোলা চালু করে।
অবশ্য এই দুই ব্র্যান্ডের পানীয় নিয়ে রুশ নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া বেশ মিশ্র। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই দু’টি পানীয়র কোনোটিরই স্বাদ ‘মিষ্টি এবং ঝলমলে’ নয়।
টিএম