শান্তি আলোচনা স্থবির, পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
টানা প্রায় তিন মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনও। এই পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে দুই দেশের শান্তি আলোচনা চলছিল একইসঙ্গে। তবে সেই শান্তি আলোচনা আপাতত থমকে গেছে। রাশিয়া এর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করলেও ইউক্রেনের পাল্টা আঙুল রাশিয়ার দিকে।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, মস্কো-কিয়েভের চলমান এই যুদ্ধ কীভাবে থামিয়ে সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের প্রতিনিধিই জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তি আলোচনা আপাতত স্থগিত। কোনোপক্ষই সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারছে না।
এদিকে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুডেনকো বলেছেন, ‘কিয়েভ কার্যত আলোচনার টেবিল থেকে উঠে গেছে। আপস-মীমাংসার সামান্য সুযোগটুকু তারা রাখেনি।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বক্তব্য, ইউক্রেন নিজের স্বার্থের কথা ভাবছে না। তারা পশ্চিমা দেশগুলোর কথামতো কাজ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে কার্যত ব্যবহার করছে নিজেদের কৌশল সাজানোর জন্য। এতে ইউক্রেনের কোনো লাভ হবে না।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা সবসময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন তা হতে দিচ্ছে না।’
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পরামর্শদাতা মিখাইলো পদোলিয়াক জানিয়েছেন, আলোচনা স্থগিত করতেই হলো কারণ, রাশিয়া কোনোরকম দাবিই মানতে রাজি নয়। তারা কোনো সমাধানসূত্রেও পৌঁছাতে চাইছে না। রাশিয়ার অবস্থান অত্যন্ত নেতিবাচক বলেও অভিযোগ পদোলিয়াকের।
এদিকে সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগদান নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খুলেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার দেশটি জানিয়েছে, ওই দুই দেশ ন্যাটোয় যোগ দিতে চাইলে তাদের কিছু বলার নেই। বিষয়টিকে তারা হুমকি হিসেবেও দেখছে না। কারণ, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগেও ন্যাটোর একাধিক মহড়ায় এই দুই দেশ যোগ দিয়েছে।
মস্কো বলছে, দেখার বিষয় হলো ওই দুই দেশের ভূখণ্ডে ন্যাটো সেনাঘাঁটি তৈরিতে ব্যবহার করে কি না। তা করা হলে রাশিয়া উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করলে রাশিয়াকে তার উত্তর দিতে হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
টিএম