গাজায় করোনা টিকা প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা
ফিলিস্তিনের গাজায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রবেশ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। করোনা মহামারি প্রতিরোধে স্বস্থ্যকর্মীদের জন্য রাশিয়ার পাঠানো ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিনের এক হাজার ডোজ গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আলকাইলা এই তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা ভ্যাকসিনের চালান আটকে দেওয়ায় ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন মাই আলকাইলা। এর পুরো দায়-দায়িত্ব ইসরায়েলকে বহন করতে হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করে আসছে হামাস। আর এর প্রতিবাদে একই সময় থেকেই ভূখণ্ডটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
এদিকে গাজায় রুশ ভ্যাকসিন প্রবেশ করতে না পারলেও হামাসশাসিত এই উপত্যকার সঙ্গে নিজেদের করোনা ভ্যাকসিন ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে পশ্চিম তীর শাসন করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। গাজায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করে এবং করোনা মহামারির এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও অঞ্চলটিতে এখনও পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন প্রবেশ করেনি।
হামাসের শাসনাধীনে থাকা এই এলাকায় এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫৩৭ জন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত রাশিয়ার তৈরি প্রায় দুই হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন হাতে পেয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
বিশ্বে করোনার টিকাদানে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রথম দফার টিকাদান সম্পন্ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসন। তবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষকে এখনও টিকার আওতায় আনেনি ইসরায়েল। পশ্চিমতীরে ও গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের টিকার আওতায় আনতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
ইসরায়েলে করোনার টিকাদানের কাজটি সম্পন্ন করছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংস্থা সিওজিএটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে এক হাজার ডোজ করোনা টিকা পাঠানোর জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানালেও এ বিষয়ে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের’ জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম