মানবদেহে বিরল ‘মাঙ্কি পক্স’ ভাইরাসের সন্ধান, কী এই রোগ
করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে এখনও উদ্বেগ। তার মধ্যেই মানবদেহে মিলেছে আরেকটি বিরল ভাইরাসের সন্ধান। ‘মাঙ্কি পক্স’ নামক এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটেনের এক নাগরিক। দেশটির সরকারও বিষয়টি স্বীকার করেছে।
‘মাঙ্কি পক্স’-এ আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানেই কোনো ভাবে তিনি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ভাইরাসটি সংক্রামক। নাক-মুখ-চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকেও সংক্রমিত হতে পারে এ ভাইরাস।
মাঙ্কি পক্স নিয়ে যা জানা গেল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এ ভাইরাস এতই বিরল যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানা নেই চিকিৎসকদের। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে নাম ‘মাঙ্কি পক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ ভাইরাস। এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এ ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে— জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। কাঁপুনি ও ক্লান্তি দেখা দিতে হবে। এরপর দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ক্ষত।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে। শ্বাসনালী, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও হতে পারে সংক্রমণ।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ‘মাঙ্কি পক্স’-এ আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তির আগে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত সংক্রামক ব্যাধির জন্য বিশেষভাবে নির্মিত একটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই রোগী।
এসএসএইচ