অশনির প্রভাবে উত্তরবঙ্গে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির আভাস
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ভারতের উত্তরবঙ্গ। মঙ্গলবার (১০ মে) দেশটির আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার পর থেকে বৃষ্টিতে ভাসাতে পারে পুরো উত্তরবঙ্গ। এর মধ্যে দার্জিলিংসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন জেলাও রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা। সেখানে আবহাওয়াবিদরা জানান, অশনির প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মূলত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস— দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। এই জেলাগুলো পর্যটকদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য।
ঘূর্ণিঝড় অশনির গতিপথ উড়িষ্যার দিকে। তবু কেন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির জন্য উত্তরবঙ্গে দখিনা বাতাস ঢুকছে। তাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। এর মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হলেও জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে বৃহস্পতি থেকে রোববার পর্যন্ত।
উত্তরবঙ্গের এই পাঁচ জেলার পাশাপাশি পুরো রাজ্যেই ১৫ মে অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৫.২ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৩.৫ ডিগ্রি পূর্ব) অবস্থান করছিল। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
এসএসএইচ