কঙ্গোতে আবারো ইবোলার হানা, একজনের মৃত্যু
আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে আবারও ইবোলা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইকুয়েটার প্রদেশের এমবান্দাকা শহরে শুক্রবার ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হু জানিয়েছে, ২০১৮ সালের পর থেকে ইকুয়েটার প্রদেশে এটি তৃতীয়বারের মতো ইবোলা সংক্রমণ। আর ১৯৭৬ সালের পর থেকে দেশটিতে ১৪তম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, সময় আমাদের পক্ষে নেই। দুই সপ্তাহ আগে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কিন্তু মাত্রই তা ধরা পড়েছে। তবে ইতিবাচক সংবাদ এই যে কঙ্গোর স্বাস্থ্যকর্মীরা ইবোলার প্রাদুর্ভাব দ্রুত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অভিজ্ঞ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ৩১ বছর বয়সী একজন পুরুষের দেশে ইবোলা শনাক্ত হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ৫ এপ্রিল থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতে এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে স্থানীয় একটি ইবোলার চিকিৎসা কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এর একদিন পরেই মারা যান।
স্বাস্থ্যকর্মীরা ইবোলার উপসর্গ শনাক্ত করেছেন এবং ‘তাৎক্ষণিক’ পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিয়েছেন। নতুন করে শুরু হওয়া এই প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডা. মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, এমবান্দাকার বেশিরভাগ মানুষকে ইবোলা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। যা এই রোগ দমনে সহায়তা করবে। ২০২গ সালে যাদের টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে আবারো টিকা দেওয়া হবে। মৃত রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের সবাইকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। রোগীকে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সেটিও জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ইকুয়েটর প্রদেশে ২০২০ সালে ১৩০ জনের দেহে ইবোলা শনাক্ত করা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালে ৫৪ জন শনাক্ত হয়েছিল। মধ্য আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোর নিরক্ষীয় বনগুলো ইবোলা সংকটের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে। দেশটিতে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই রোগে দুই হাজারের মানুষ মারা গেছে।
১৯৭৬ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ইবোলা নদীর কাছে ভাইরাসটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় দেশটিতে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।
সূত্র : সিএনএন
ওএফ