‘ইউক্রেনকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায় রাশিয়া’
উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ইউক্রেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করতে চায় রাশিয়া। শুধু বিভক্ত করাই নয়, বরং দ্বিখণ্ডিত দুই ইউক্রেনকে মস্কো নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পরিণত করতে চায় রাশিয়া। রোববার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ এই মন্তব্য করেছেন। দেশটির ভাঙন ঠেকাতে ‘সম্পূর্ণ’ গেরিলা যুদ্ধ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ান বাহিনীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে সহায়তা করতে পশ্চিমাদের কাছে আরও ট্যাংক, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনে জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্যের গুদাম ক্রমবর্ধমান আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়ার বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে কিরিলো বুদানভ বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইউক্রেনকে বিভক্ত করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ান বাহিনীকে তাড়িয়ে দেবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। ইউক্রেনীয় এই সামরিক গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শিগগিরই ইউক্রেনীয় গেরিলা যুদ্ধ শুরু হবে। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যাবে, তখন তাদের (রুশ সৈন্য) কীভাবে বাঁচা যায় সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করা রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে তাদের প্রথম ধাপের অভিযান সফল হয়েছে। ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত এবং নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে পুতিন ওই অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও পশ্চিমারা বলছেন, রাশিয়া অযাচিতভাবে বিনা উসকানিতে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনের কয়েকটি শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ; যা ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। দেশটির কিছু কিছু শহরে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এসএস