সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক জ্বালানি ও পানি শোধনাগারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় সাময়িকভাবে জ্বালানি ও পানি শোধন কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রোববার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জিজান প্রদেশে এই হামলা হয়েছে বলে সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের জিজান প্রদেশের একটি পেট্রোলিয়াম পণ্য বিতরণের টার্মিনাল, একটি প্রাকৃতিক গ্যাস প্ল্যান্ট এবং লোহিত সাগরের তীরবর্তী ইয়ানবু বন্দরের ইয়াসরেফ শোধনাগারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা হয়েছে।
হামলায় ইয়াসরেফ শোধনাগারের উৎপাদন সাময়িকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে সৌদি আরামকো এবং চায়না পেট্রোকেমিক্যাল করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগ ইয়ানবু আরামকো সিনোপেক রিফাইনিং কোম্পানি থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরামকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন নাসের বলেছেন, গ্রাহকদের সরবরাহে হামলার কোনো প্রভাব পড়বে না।
ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোট বলেছে, ধাহরান আল জানুব এলাকার আল-শাকিক পানি শোধনাগার, একটি বিদ্যুৎ স্টেশন ও খামিস মুশাইত এলাকার একটি গ্যাস স্থাপনাও শনিবার রাত এবং রোববার সকালের দিকের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুথিদের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আটকে দেওয়ার পর ধ্বংস করা হয়েছে। হামলায় স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, তারা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ, ইয়ানবু এবং অন্যান্য এলাকায় আরামকোর স্থাপনায় ব্যালিস্টিক এবং ডানাযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন ছোড়া হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের অন্যান্য অঞ্চলেও ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালানো হয়েছে।
এসএস