বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব বাতিল
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে বাতিল হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব। ঘরোয়াভাবেও উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হোস্টেল খোলারে দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। এমনকি আন্দোলন শুরুর চতুর্থ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল রেজিস্ট্রার আশীষ আগারওয়ালকে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান তিনি।
গত সোমবার বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে যান রেজিস্ট্রার। সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপকরাও। তখনই তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। ওইদিন পদত্যাগ করেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশীষ আগারওয়াল।
এমন পরিস্থিতিতেও গত ১৪ মার্চ বসন্ত উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ। তবে অনুষ্ঠান বাতিলের একটি ভিডিওতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মুহূর্তে বসন্ত উৎসব কোন দিন হবে, তা ঘোষণা করছি না। আলোচনা করে দিন ঘোষণা করা হবে। এটা বিশ্বভারতীর পরিবারের অনুষ্ঠান। এটা কখনই আমজনতার অনুষ্ঠান ছিল না’।
জানা গেছে, চিরাচরিত রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বসন্ত উৎসবের। তবে সবকিছুই ঘরোয়াভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি বাতিলই করে দেওয়া হলো এবারের বসন্ত উৎসব।
এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের সদস্য কিশোর ভট্টাচার্য ও গৌতম সাহা জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ছাত্র আন্দোলনের কারণে আশ্রমের পরিবেশ এখনও অশান্ত’।
এর আগে, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দুই বছর ঘরোয়াভাবেই বসন্ত উৎসব উদযাপন করেছে বিশ্বভারতী। ওই অনুষ্ঠানগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
এমএইচএস