মধ্যপ্রাচ্যের স্বেচ্ছাসেবীদের রুশ বাহিনীতে স্বাগত জানালেন পুতিন
ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে রুশ বাহিনীতে যোগ দিতে চাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সর প্রতিবেদনে বলা হয়. বৃহস্পতিবার ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয় পুতিন ও শোইগুর মধ্যে। সেখানেই স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়টি পুতিনের গোচর করেন শোইগু। তিনি বলেন, ‘এই স্বেচ্ছাসেবীদের অনেককেই আমরা চিনি এবং জানি। গত ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে আমরা যে যুদ্ধ করছি, সেখানে তাদের অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
জবাবে পুতিন বলেন, ‘আপনার যদি মনে হয়—তারা অর্থের জন্য নয়, বরং ডনবাসে (দনেতস্ক এবং লুহানস্ক) বসবাসরত বেসামরিক লোকজনকে সহযোগিতা করতে চাইছে, সেক্ষেত্রে তাদের আহ্বানে আমাদের সাড়া দেওয়া উচিত এবং রুশ বাহিনীতে তাদেরকে স্বাগত জানানো উচিত।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা গেছেন ইউক্রেনে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৫২ টি দেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী ইউক্রেনে এসেছেন এবং সেখানকার বিভিন্ন শহরে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শোইগু জানান, ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর সেখানকার বেশ কিছু অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রুশ বাহিনীর দখলে এসেছে। এসবের মধ্যে বন্দুক-গোলাবারুদের পাশাপাশি পরিবহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট কমপ্লেক্সের মত অস্ত্রও রয়েছে। এগুলোর নিয়ে এখন কী করা হবে— সে বিষয়ে পুতিনের কাছে নির্দেশনা চান তিনি।
পুতিন বলেন, ‘এসব অস্ত্র ইউক্রেন সরকারকে তার পশ্চিমা মিত্ররা দিয়েছিল। আমার মতে এগুলো লুহানস্ক এবং দোনেতস্কের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা উচিত।’
পুতিন ও শোইগুর এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার পর রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই স্বেচ্ছাসেবীদের সবাই মধ্যপ্রাচ্যের এবং তাদের অধিকাংশই সিরিয়া থেকে এসেছেন।
তবে বাইরের দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী গ্রহণ করা হলেও রুশ বেসামরিক নাগরিকদের মধ্য থেকে এই যুদ্ধের জন্য স্বেচ্ছাসেবী বাছাইয়ের কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন পেসকভ।
এসএমডব্লিউ