জাতিসংঘে রাশিয়ার নিন্দায় সরব ১৪১ দেশ
ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে লাগাতার স্থল, জল ও আকাশপথ দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশটির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, একতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনার প্রস্তাবনায় ভোটাভুটি হয়।
বিশ্বের ১৪১টি দেশ এই প্রস্তাবনার সপক্ষে ভোট দেওয়ায় তা গৃহীত হয়। অন্যদিকে, ৫টি দেশ এই প্রস্তাবনার বিরোধিতা করে এবং ৩৫টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘে যেকোনো প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়ার জন্যই মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশের মত সপক্ষে থাকার প্রয়োজন হয়।
ওই প্রস্তাবনায় রাশিয়ার নিউক্লিয়ার আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বেলারুশের মাটিকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার নিন্দা করা হয়েছে। আগ্রাসন বন্ধ করে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা অনুসরণ করে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাবনায় দ্রুত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আলোচনা, সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
যেসব দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করে এই প্রস্তাবনায় সম্মতি দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- আফগানিস্তান, কানাডা, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইউক্রেন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করে প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবনায় ১১টি দেশ পক্ষে ভোট দিলেও, ভারতসহ ৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। তবে রাশিয়া ভেটো শক্তি প্রয়োগ করায়, সেই প্রস্তাবনা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর রোববার নিরাপত্তা পরিষদ ফের একবার বৈঠকে বসে। এবারে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ১১টি সদস্য দেশের ভোট দেওয়ায় বুধবার অধিবেশন বসে।
প্রস্তাবনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণার নিন্দা করা হয় এবং মস্কো যাতে দ্রুত সম্পূর্ণরূপে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে, তার অনুরোধ করা হয়।
ওএফ