ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র-ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে জার্মানি
ইউক্রেনকে দেড় হাজার অস্ত্র দিচ্ছে জার্মানি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন ও ‘স্ট্রিঙ্গার’ সারফেস টু এয়ার মিসাইল। বার্লিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, চলমান রাশিয়ার হামলার মধ্যেই ইউক্রেনকে এক হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন ও ৫০০ ‘স্ট্রিঙ্গার’ সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিচ্ছে।
এর মধ্যে দিয়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধের যে নীতি ছিল, তাতে পরিবর্তন এলো। জার্মানির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক টুইট বার্তায় তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলৎজ বিবিসিকে বলেন, এ পরিস্থিতিতে পুতিনের সৈন্যদের হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
এর আগে, জার্মানির তৈরি মারণাস্ত্র তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে ইউক্রেনে সরবরাহের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, জার্মানি তা তুলে নেয়। এতে নেদারল্যান্ডস জার্মানির তৈরি ৪০০ রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড লাঞ্চার ইউক্রেনে পাঠাতে পারবে।
এ নিষেধাজ্ঞা তুলে জার্মানি তাদের অস্ত্র নীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আনল। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক সহযোগিতা বাড়বে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেসব অস্ত্র রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই জার্মানির তৈরি। এসব অস্ত্র কোথায় কীভাবে ব্যবহার ও রপ্তানি হবে সে বিষয়ে এখন থেকে বার্লিন নিজেদের মত জানাতে পারবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জার্মানির ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়া প্রত্যাখ্যান করার পেছনে এ নীতির কথাই বারবার বলছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলৎজ।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপের দেশগুলোর কাছে আরও বেশি করে সহযোগিতা কামনা করতে থাকে।
আরএইচ