সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন ১৭ মার্চ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল আগামী ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানো রোগীদের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে আসবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কর্মক্ষম পরিকল্পনা (অপারেশন প্ল্যান) বিষয়ে এক আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে (১৭ মার্চ) দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের রোগীদের যাতে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয় সে লক্ষ্য বিবেচনায় নিয়েই এগিয়ে চলছে নির্মাণাধীন এই হাসপাতালের কার্যক্রম।
আলোচনা সভায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। বিশ্বমানের এই হাসপাতালের ম্যানেজমেন্টের জন্য যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মৌলিক গবেষণার সুযোগ রাখা, গবেষণার জন্য আলাদা সেন্টার রাখা, রোগীদের সুবিধার্থে নতুন সংযোজন যেমন- বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, জিন থেরাপি চালু, আনন্দদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, নন প্র্যাকটিসিং চিকিৎসকদের নিয়োগ, রোগীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ, সাশ্রয়ীমূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ রাখা, সর্বক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রাখা এবং হাসপাতালে উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ দেশের প্রথম অনুসরণীয় বিশ্বমানের মডেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম শতভাগ, আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ওয়ার্ক ৯৩ শতাংশ, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রমও ৯৩ শতাংশ এবং হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কার্যক্রম অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
তারা জানান, এই হাসপাতাল হবে সেন্টার বেইজড হাসপাতাল, পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, হাসপাতালটি হবে বিশ্বমানের। হাসপাতালটিতে থাকবে বিভিন্ন বিভাগ, ডিসিপ্লিন নিয়ে কমপক্ষে বিশ্বমানের পাঁচটি সেন্টার। থাকবে ১০০ শয্যার আইসিইউ, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, পৌনে একশ কেবিন ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজী, সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ, সংসদ সদস্য ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজসহ প্রমুখ।
টিআই/ওএফ