চিকিৎসকসহ ৮৮৯০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আট হাজার ৮৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (২৫ জুলাই) চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিশনের (বিএমএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএমএ জানায়, আট হাজার ৮৯০ জনের মধ্যে চিকিৎসক তিন হাজার ৫৮ জন, নার্স দুই হাজার ১৭৫ জন, আর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তিন হাজার ৬৭৫ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ জুলাই পর্যন্ত করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে তিন ডেন্টাল সার্জন এবং ১৬৯ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল চিকিৎসক ২৩ জন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৭৪ জন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত ৭ জন, বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স ৬৪ জন এবং আর্মি মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন রয়েছেন।
এছাড়াও ডেন্টাল চিকিৎসকদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দুই জন এবং বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স রয়েছে একজন।
করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ এপ্রিল। ওই দিন মারা যান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে চিকিৎসক সমাজসহ সব পেশাজীবী শ্রেণি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক। গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
ডা. এমদাদুল হক রংপুর মেডিকেল কলেজের ৭ম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যশোরের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
টিআই/জেডএস