বিএসএমএমইউতে হচ্ছে ১২শ শয্যার করোনা হাসপাতাল
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হচ্ছে ১২০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল। যেখানে চার শতাধিক আইসিইউ এবং আরও চার শতাধিক আইসিইউ সমতুল্য এইচডিও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে এই হাসপাতালটি হবে দেশের সর্বাধুনিক করোনা হাসপাতাল।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা বৃদ্ধি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিল্ডিং দেখেছি, এসব বিল্ডিংয়ে করোনা হাসপাতাল স্থাপন করা যায় কি না। গতকাল প্রায় সারাদিন ঘুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কনভেনশন হলটি বাছাই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : রাজধানীর ৫ স্থানে হবে করোনা ফিল্ড হাসপাতাল
মন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতালে প্রায় ১২শ বেডের একটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল আমরা ব্যবস্থা করতে পারব। আর এটি যখন হয়ে যাবে, আমরা মনে করি এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো এবং আধুনিক করোনা হাসপাতাল হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিএসএমএমইউর এই বিল্ডিংটি ফাইভস্টার স্ট্যান্ডার্ডের একটি বিল্ডিং। এখানে এয়ারকন্ডিশন, পানিসহ সব ধরনের ফ্যাসিলিটি রয়েছে। শুধু অক্সিজেনের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই হাসপাতালটি চালু করে দেওয়া।
দেশে সংক্রমণ বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১১ হাজার লোক নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন এবং পাশাপাশি প্রায় দুইশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এজন্য আমরা খুবই দুঃখিত।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এ মৃত্যু রোধ করার এবং সংক্রমণের হার কমিয়ে আনার। গত ১০ দিনে আমরা যদি হিসাব করি, প্রায় ৯০ হাজার লোক করোনা সংক্রমিত হয়েছে। যার কারণে আমরা মনে করি খুব শিগগিরই আরও প্রায় আট-দশ হাজার লোক স্বাস্থ্যসেবায় আসবে এবং তাদের চিকিৎসা দিতে হবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার সাধারণ শয্যা রয়েছে। সেটিকে প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ শয্যা এখন রোগীতে পূর্ণ। তাই নতুন করে শয্যা বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউয়ের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটির নাম হবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে। কনভেনশন সেন্টারের পঞ্চম তলায় এটি হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
টিআই/এইচকে