স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগে গুরুত্বের তাগিদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, শুধু রোগমুক্ত থাকাই নয়, বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থাকাই পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সমন্বিত ও বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তরুণদের দক্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল হেলথ প্রমোশন ইন্টার্নশিপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দেশের ছয়টি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আরও পড়ুন
আলোচকরা বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে শুধু চিকিৎসার সীমানায় সীমাবদ্ধ না রেখে সার্বিক জনস্বাস্থ্যের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট আইন, নীতিমালা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের জন্য হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন একটি ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বক্তারা বলেন, আজকের তরুণরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই সুস্থ ও দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা বিস্তারে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সিনিয়র উপদেষ্টা দেবরা ইফরইমসন, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির বিভাগীয় প্রধান মো. শরিফুল ইসলাম, এআইইউবির সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফাত তাসনিম হক অরিণ, বিইউএইচএসের সহযোগী অধ্যাপক পলাশ চন্দ্র বণীক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আয়েশা আহমেদ, আইইউবির বিভাগীয় প্রধান জিনাত জাবিন হোসেন এবং ট্রাস্টের স্বাস্থ্য অধিকার বিভাগের প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ।
এএসএস/এমএসএ