ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ৬ মাসে একবার চেকআপের পরামর্শ
একজন ডায়াবেটিস আক্রান্তকে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এবং একজন সাধারণ মানুষের বয়স ৩০ বছরের বেশি হলে প্রতি বছর কমপক্ষে একবার করে পায়ের চেকআপ করানো উচিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় চোখের সামনেই যেকোনো সময়ে যেকোনো মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে। তাদের মতে, যেকোনো বয়সেই হাত ও পায়ের সুস্থতা জরুরি। কারণ হাত ও পা না থাকলে বা ঠিকমতো কাজ না করলে সেই মানুষটার জীবন এমনিতেই বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই হজে যাওয়ার আগেও সম্ভাব্য হাজযাত্রীদের ভাসকুলার সার্জন দেখিয়ে নেওয়া উচিত।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটির মহাসচিব ডা. সাকলায়েন রাসেল।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে কোনো ব্যক্তির হাত-পা ঠান্ডা হয়ে তীব্র ব্যথা হলে সেটি রক্তনালী বন্ধ হওয়ার লক্ষণ। এজন্য প্রথমেই উচিত ভাসকুলার সার্জনের কাছে যাওয়া। অথবা কোনো কারণে হাতে বা পায়ে ইনফেকশান হলে সেটি যদি দ্রুত না সারে সেক্ষেত্রে রক্তনালীতে ইনফেকশন হতে পারে এবং এর চিকিৎসায় ভাসকুলার সার্জনের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডা. সাকলায়েন বলেন, রক্তনালীতে নানা ধরনের রোগ হতে পারে, এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কম। ফলে তারা অপচিকিৎসার শিকার হয়। তাছাড়া বাংলাদেশে সব মিলিয়ে মাত্র ৫৫ জন ভাসকুলার সার্জন রয়েছেন। এই কারণেও রক্তনালির রোগে আক্রান্তরা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পান না।
তিনি আরও বলেন, একজন মানুষের হাতে বা পায়ে অথবা শরীরের যেকোনো স্থানে গ্যাংগ্রিন বা ঘা হলে সেই অঙ্গটি কেটে ফেলার আগে ভাসকুলার সার্জনের পরামর্শ নিন, এমনও হতে পারে আপনার অঙ্গটি না কেটেই আপনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
‘জাতীয় রক্তনালী দিবস’ ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান মুহাম্মদ বাশার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. বজলুল গণি ভূইয়া প্রমুখ।
টিআই/জেডএস