‘মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল, বাড়ানোর চেষ্টা করছি’
দেশে শিক্ষারত ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে আগামী দিনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, তোমাদের থাকার এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতা রয়েছে। আমি রাতারাতি হয়ত পারব না। কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তোমাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে। তোমাদের ভালোভাবে রাখতে।
সোমবার (৮ জুলাই) স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শন শেষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষ এবং পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, তোমরা এই দেশের ভবিষ্যৎ। আমি আশা করব তোমরা ভালোমতো পড়াশোনা করে দেশের উপকার করবে। আমি বলব তোমরা অনেক ভাগ্যবান। চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পরার যে সৌভাগ্য সেটা সবার হয় না।
মন্ত্রী বলেন, অ্যাপ্রোনের মর্যাদাটা তোমাদের ধরে রাখতে হবে। তোমাদের যথাযথভাবে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। পিতামাতাকে সম্মান করতে হবে। পিতামাতাকে সম্মান করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করব। আমার কাজ হচ্ছে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিকমতো পাচ্ছে না, ডাক্তাররা কর্মউপযুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে কিনা সেটা দেখা। রোগী এবং ডাক্তার উভয়েকেই সুরক্ষা দেওয়া আমার দায়িত্ব। এজন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইন নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং এমবিবিএস প্রথম বর্ষ এবং পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এরপর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, এমআরআই, আইসিইউ, পেডিয়াট্রিক্স আইসিইউ বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন।
এসময় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাজহারুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/জেডএস