সাধারণ জ্বর না ডেঙ্গু, কীভাবে বুঝবেন?
বর্ষার মৌসুমে জ্বর, সর্দি-কাশি সাধারণ ঘটনা। শিশুদের এই সমস্যাটা একটু বেশি হয়। চিকিৎসকের কাছে গেলে বা না গেলেও ২-৩ দিনে কমে যায়। কিন্তু যদি এর মধ্যে না কমে তবে বিপদের আশঙ্কা থাকে। কারণ বর্ষাকালেই বাড়ে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ। এখানে সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য আছে। জেনে নেওয়া যাক সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো...
সাধারণ ঠান্ডা জ্বর
১. বর্ষাকালে ঠান্ডা লেগে যে জ্বর হয় তাতে চোখ জ্বালা করে। হাতে পায়ে হালকা ব্যথা হয়।
২. বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে যে জ্বর হয় তা কিন্তু অন্তত এক থেকে দু’দিন থাকে।
৩. মাথা হালকা ভার ভার লাগতে পারে। বেশিরভাগই ঘুমালে অনেকটা কমে যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
১. ডেঙ্গু জ্বর হলে হাত, পায়ের তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হবে। সেইসঙ্গে সারা গায়ে ফুসকুড়ি হবে।
২. অনেক সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অনেকেরই শরীরে কোনও রকম উপসর্গ থাকে না। শুধুই তাদের শরীর দুর্বল হতে থাকে।
৩. ডেঙ্গুর জ্বর হলে পেটে তীব্র ব্যথা হয়, বমি লাগে, নাক দিয়ে অনেকের রক্ত পড়ে। এমনকি মল দিয়ে রক্ত আসে।
৪. বমি করলে তাতেও রক্ত আসে। খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে। উঠে দাঁড়ানো যায় না। প্রচণ্ড মাথা ঘোরে।
৫. ডেঙ্গু হলে সময় প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়, চোখের চারপাশে, পেশিতে, জয়েন্টে ব্যথা হয়, পেট ব্যথা হয়।
৬. প্রেসার কমে যেতে থাকে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি হয়।
৭. রোগীর প্লাটিলেট হু হু করে কমতে থাকে। অনেক সময় প্লাটিলেট রেট কমে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
তাছাড়া প্লাটিলেটের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্লাটিলেটের মাত্রা প্রতি মাইক্রোলিটারে ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫০ লাখ পর্যন্ত থাকে। ডেঙ্গুর কিছু ক্ষেত্রে এই মাত্রা কমতে থাকে। যদি এটি ১ লাখের কম হয় তবে এটি কম প্লাটিলেট গণনা হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। প্লাটিলেটের মাত্রা ৫০ হাজারের কম হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে প্লাটিলেট দিতে হবে।
পিএইচ