জ্বর হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন, দেরিতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে
ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই সবাইকে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমাদের হাসপাতালের সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের ডাক্তাররাও ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ। আমি একটা অনুরোধ করব, জ্বর হলে সবাই যেন সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়। দেরি করলেই মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
বুধবার (৮ মে) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং কর্তৃক সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে। আমি চাই না ডেঙ্গুর কারণে আর কারো মা হারাক। তবে ডেঙ্গু নিয়ে একটা কথা বলি, এটা এমন একটা রোগ নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না, দুইটা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ না করতে পারি তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কিন্তু এটা বন্ধ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা এরইমধ্যে করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া এবার স্যালাইনের সংকটও হবে না। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি তারা দামও বাড়াবে না।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে টিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রতিটি শিশুর টিকাপ্রাপ্তির জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। টিকাদান কার্যক্রমে অসাধারণ সফলতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। জনবলের অপ্রতুলতা থাকা সত্ত্বেও সারাদেশে কর্মীরা নিরলসভাবে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এবং এ জনবল সংকট কাটিয়ে উঠতে অতি শিগগিরই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইউনিসেফ, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সসহ টিকাদান কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশের টিকা কার্যক্রম অনন্য অসাধারণ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংকে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি সফল আলোচনা সভা আয়োজন করায় সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সংসদ সদস্যসহ সবার সমর্থনে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তিনি দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে সমৃদ্ধ করে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চান।
অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, কানন আরা বেগম, জ্বরতি তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিসেফ বাংলাদেশ চিফ অব হেলথ মায়া ভানডেনেট, হু প্রতিনিধি বার্ডান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীরসহ প্রমুখ।
টিআই/জেডএস