থমথমে বিএসএমএমইউ, যেকোনো মূল্যে সিন্ডিকেট সভা চান উপাচার্য
বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদপন্থি কয়েকজন চিকিৎসককে মারধর এবং উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিংকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। মিছিল ও সভা-সমাবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে— বিদায়ী উপাচার্য যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিং করতে চান এবং এডহকে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করে যেতে চান।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিস, বিভিন্ন প্রবেশ গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
বিএসএমএমইউয়ে দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, আজ (রোববার) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের শেষ সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা। এই মিটিংকে কেন্দ্র করে যেন কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপাচার্য চান যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিংটি সম্পন্ন করে যেতে।
আরও পড়ুন
সাধারণত যেকোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয় প্রশাসনিক ভবনের ডা. মিল্টন হলে। এবার উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট মিটিং করতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার হলে।
এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি 'গুরুত্বপূর্ণ কাজে' ব্যস্ত আছেন জানিয়ে কথা বলেননি।
গতকাল শনিবার রাতে বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই বিজ্ঞপ্তি জারির কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, উপাচার্যের শেষ মেয়াদে এডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গতকাল (শনিবার) বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। এ সময় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদ ও শিপনসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।
টিআই/এমজে