প্রতি মাসেই লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে চায় বিএসএমএমইউ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রতি মাসে অন্তত একটি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করাতে চায় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টে আমরা সফলতার মুখ দেখেছি। যদিও এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল, তারপরও আমরা ক্রমান্বয়ে প্রতি মাসে একটি করে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত ‘শিশুদের লিভার সার্জারি ও নতুন জীবনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিশু সার্জারি বিভাগ।
উপাচার্য বলেন, আগামী ২৬ মার্চের আগে আমরা আরেকটি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের উদ্যোগ নেব। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা রোবটিক্স সার্জারি চালু করবো। ইন্সট্রুমেন্ট চেয়েছি, আশাকরি এ বছরের মধ্যেই আমরা রোবটিক্স চালু করতে পারবো।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, লিভার প্রতিস্থাপন একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। ইউরোপে ২ কোটি টাকার মত খরচ হয়। ভারতে ৬০-৭০ লাখ এবং বাংলাদেশে আনুমানিক ২০-৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। শিশুর লিভার প্রতিস্থাপন আমাদের স্বপ্ন। যা পূরণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিডনি, লিভার, কর্ণিয়া দিতে হলে নিকট আত্মীয় ছাড়া অন্য কেউ দিতে পারে না। আইনের কারণে এটা পারা যায় না। কিন্তু দেশের বাইরে কেউ ইচ্ছে করলেই একজন আরেকজনকে মানবিক কারণে এসব দান করতে পারে। আমরা এই আইনের বিষয়ে কাজ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছি, যাতে বিশেষজ্ঞ তৈরি হয়। পিএইচডি কোর্সে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছি। ইংলিশ জার্নাল, ইমার্জেন্সি বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসাইন।
টিআই/এসএম