কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনবেন
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অনেকের টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না। এ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন তারা। মলত্যাগ যদি সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা পরিমাণে খুব কম হয়, অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও মলত্যাগ না হয়, অথবা মল অস্বাভাবিক রকমের শক্ত বা শুকনো হয়, তাহলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ভুগলে ডায়েটে বেশি করে ফাইবার রাখা ভীষণ জরুরি।
• ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে। এতে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে।
• অন্ত্রে অনেক ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়ক। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলোর খাদ্য জোগায় ফাইবার। অন্ত্রে ভালো ব্যাক্টেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতেও ফাইবারের ভূমিকা রয়েছে।
• ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ডায়েটে বেশি করে ফাইবার রাখা জরুরি। তাই ডায়েবেটিকদের ডায়েটেও পর্যাপ্ত মাত্রায় ফাইবার রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ফাইবার আসলে দু’রকমের হয়— দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য ফাইবার জলের সঙ্গে মিশে জেলের মতো তরল তৈরি করে। ওট্স, বার্লি, আপেল, টকজাতীয় ফল, যেমন মুসাম্বি, কমলালেবু, কিউয়ি, ইত্যাদি দ্রাব্য ফাইবারের উৎস। এই প্রকার ফাইবার রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, অদ্রাব্য ফাইবার মূলত পেট পরিষ্কার রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। আটা, বাদাম, বীজ, বিভিন্ন ধরনের সব্জি অদ্রাব্য ফাইবারের উৎস। পেটে আলসার থাকলে ডায়েটে ফাইবারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বেশি ফাইবার খেলে পেটে ব্যথা বা জ্বালা করার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।সে ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে দ্রাব্য ফাইবার খেতে হবে, অদ্রাব্য ফাইবারের মাত্রা কমাতে হবে। হঠাৎ করে হাই ফাইবার ডায়েট শুরু করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। অল্প অল্প করে ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানোই ভালো।
এনএফ