রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি বুঝবেন যেসব লক্ষণে
ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। এটি শরীর ও মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। পালংশাক, কালো চকলেট, কাঠবাদাম, অ্যাভোকাডো, স্যামন ইত্যাদি খাবারে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি থাকার পরেও যদি হাড়ের সমস্যা হয়, তা হলে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো। আবার, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ মনখারাপ হওয়ার পিছনেও কিন্তু এই খনিজের হাত থাকতে পারে।
হঠাৎ ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে আর কী কী সমস্যা হতে পারে?
• এই ধরনের সমস্যাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না অনেকেই। সারা দিন পানি খাওয়া কম হলে, পায়ের পেশিতে হঠাৎ করে টান লাগতে পারে। সেই সমস্যা কিন্তু সাময়িক। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন পেশিতে টান লাগার সমস্যা যদি নিয়মিত হয়, তা হলে তা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
• ঘড়ির কাঁটার মতো হৃদ্স্পন্দেরও একটি ছন্দ আছে। সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের হৃদ্যন্ত্র সেই ছন্দ মেনেই চলে। তবে রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কারও হৃদ্স্পন্দনের হার হঠাৎ কমে বা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই রোগ ‘অ্যারিদ্মিয়া’ নামে পরিচিত।
• তেমন কিছুই ঘটেনি। মনখারাপ হওয়ার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না। তবু মনখারাপ হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যার নেপথ্যেও রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। স্নায়ুর কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
• অনেকেই মনে করেন, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি দু’টি উপাদান হলো ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, এই দু’টি উপাদানের পাশাপাশি হাড়ের যত্নে ম্যাগনেশিয়াম কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম না থাকলে অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
• পরিশ্রম করলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পরও যদি ঘুম পায়, ক্লান্ত লাগে, তা সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খুব একটা স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ক্লান্তির কারণও হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি।
এনএফ