ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণে ভরসা রাখতে পারেন যেসব খাবারে
দুধ হলো ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে ক্যালশিয়াম অপরিহার্য একটি উপাদান। সেই কারণে বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দুধের তৈরি অন্যান্য খাবার খেয়ে নিলেও অনেক শিশুরই দুধ খাওয়ায় চরম অরুচি। শিশুকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় মায়েদের। দুধ না খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি থেকে যায়। তবে দুধ একান্ত খেতে না চাইলে ক্যালশিয়াম আছে এমন কিছু খাবার বেশি করে খাওয়ান।
শীতকাল মানেই কমলালেবুর মৌসুম। আর কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। প্রতিদিন শিশুকে একটি করে কমলালেবু খাওয়ান। একটা কমলালেবুতে প্রায় ৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়।
ব্রকোলির মতো এমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সব্জি খুব কমই আছে। আধ কাপ ব্রকোলি খেলে প্রতি দিনের ভিটামিন সি-র চাহিদার প্রায় ৮৪ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। এ ছাড়াও এই সবজিতে ক্যালশিয়ামও আছে প্রচুর পরিমাণে। ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ, সর্দিকাশি, জ্বর ইত্যাদি অসুখবিসুখ থেকে বাঁচতে খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি রাখতে পারেন।
এক কাপ কাঠবাদামে প্রায় ৩৮৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। তাই শিশুকে নিয়ম করে বাদাম খাওয়ালে দৈনিক ক্যালশিয়ামের চাহিদার এক তৃতীয়াংশের বেশি পূরণ হয়ে যায়।
দুধের বিকল্প খাবারের কথা বললে প্রথমেই আসে সয়া মিল্ক। ক্যালশিয়ামে ভরপুর এবং সঙ্গে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সয়া মিল্ক খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হয় না। এ ছাড়াও দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে যদি অ্যালার্জি থাকে সয়া মিল্ক ভরসা হতে পারে।
এনএফ