পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে যে সতর্কতা জরুরি
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক অর্জন সত্ত্বেও ক্যানসার এখনও একটি মারণ ব্যাধি। সময়মতো এটি ধরা পড়লে রোগীর চিকিৎসা সহজ হয় এবং জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। ক্যানসারের পেছনে ধূমপান, যেকোনো ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসাসহ অনেক কারণ হতে পারে, এছাড়াও ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো বংশগতি।
যদি পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকে (বাবা মা বা দাদু ঠাকুমা), তবে এটি আরও প্রজন্ম ধরে চলতে পারে। অর্থাৎ, যদি পরিবারের কারও আগে ক্যানসার হয়ে থাকে, তবে পরবর্তী লোকদের মধ্যে এই ঝুঁকি বাড়ে (বিশেষত প্রথম প্রজন্মে অর্থাৎ পিতামাতা থেকে সন্তান পর্যন্ত)। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি যাতে সময়মতো এই মারণ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
জেনেটিক পরীক্ষা করান
জেনেটিক টেস্টিং হলো একটি কৌশল যেখানে জিন পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় জিনের কোনো পরিবর্তন আছে কি না যা ভবিষ্যতে কোনো রোগের কারণ হতে পারে। পরিবারে কারও ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিন
পরিবারের কারও ক্যানসার থাকলে আপনারও তা হবে এমন নয়, কারণ সব ধরনের ক্যানসারই বংশগত নয়। ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, মহিলাদের স্তন ক্যানসার এবং পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার জেনেটিক হতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা, কাশি বা মুখ থেকে রক্ত পড়া, দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এর মতো কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা গেলে তা অবহেলা করা উচিত নয়।
আপনার খাদ্যের যত্ন নিন
ক্যান্সার এড়াতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি, এর সঙ্গে সবসময় তাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ধূমপান, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এর মাধ্যমে আপনি শুধুক্যানসারই নয়, অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।
স্বাস্থ্যকর রুটিন গ্রহণ করুন
যেকোনো রোগ এড়াতে এবং সুস্থ থাকার জন্য, আপনার শারীরিক কার্যকলাপ যেমন ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় বের করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইকেল চালানো বা ব্যায়াম করা অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা কমাতে পারে।
এমএ