রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় ফুসফুস সুস্থ রাখতে হবে : উপাচার্য
রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় সবার আগে ফুসফুস সুস্থ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে ফুসফুসজনিত বিভিন্ন রোগ মৃত্যুর তৃতীয় কারণ। আর বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়া প্রত্যেকের ফুসফুসই মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ফুসফুস দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, সুস্থ ফুসফুসের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। তাই পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিশ্চিত করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। ফুসফুসের রোগ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে হবে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। ধূমপান বন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও জোরদার করতে হবে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৫ কোটি লোক ফুসফুসের রোগে ভোগে, ৪ কোটি লোক মারা যায়। ফুসফুসের রোগ এখন মৃত্যুর তৃতীয় কারণ। বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফুসফুসকে ভালো রাখা। ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই ফুসফুস ভালো রাখার জন্য জনসচেতনতা তৈরি এই বিশেষ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। যেমন কোভিড-১৯ এর একটি অন্যতম উদাহরণ। এছাড়া আবহাওয়া গত কারণে হাঁপানি, সিওপিডি এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশগত দূষণ, ধূমপান এই হার আরও বৃদ্ধি করছে।
ডা. মোশাররফ হোসেন বলেন, চিকিৎসার চেয়ে প্রতিকার গুরুত্বপূর্ণ, তাই জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে যক্ষ্মা, সিওপিডি, হাঁপানি, ডিপিএলডি রোগের রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা হাসপাতালের সক্ষমতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই দিন উদযাপনের মাধ্যমে আমরা জনসচেনতা সৃষ্টি করতে চাই। যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বাস্থ্য সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। যেমন কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় আমরা সবার জন্য অক্সিজেন, ওষুধ এবং আইসিইউ নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষব্যাধী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. ছন্দা সুলতানা ডোরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (মার্কেটিং অপারেশনস) মো. মুহসিন মিয়া।
/টিআই/এসএসএইচ/