ঘুম নিয়ে গুগলে যে তিনটি উত্তর সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়
ঘুম নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। দিনের পর দিন ভালো ঘুম না হওয়ার কারণে আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। আট থেকে আশি, প্রায় সবারই এখন এক সমস্যা। রাত বাড়লেও দু’চোখে ঘুম আসে না কিছুতেই। শারীরিক কোনও কারণ বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন— ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে সবচেয়ে বেশি।
গল্পের বই পড়ে, গান শুনে, মনে মনে মন্ত্র জপেও রাতের পর রাত পেঁচার মতো জেগে থাকতে হয় অনেককে। যদিও বা কারও ভোরবেলার দিকে ঘুম পায়, কিন্তু তা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কাজের তাড়নায় উঠে পড়তে হয়।
অনিদ্রার জন্য অবশ্য মানসিক কারণও দায়ী। মন চিন্তামুক্ত না থাকলে ঘুম আসা কঠিন। আজকের ইঁদুরদৌড়ের জীবনে চিন্তামুক্ত মন কল্পনা করা কঠিন। দিনের পর দিন অপর্যাপ্ত ঘুম হলে শরীর খারাপ তো হয়ই। প্রভাব পড়ে কাজের ওপরেও। নাইট শিফটে যারা চাকরি করেন, তাদের ঘুমোনোর সমস্যা বেশি হয়। রাত জেগে পড়াশোনা করতে হয় বলে ঘন ঘন সিগারেট বা কফি খান অনেকে। সিগারেট বা কফি ঘুম না আসার আরও দুটি কারণ।
দু’চোখে ঘুম আনার জন্যেই অনেকে চিকিৎসক, মনোবিদদের সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেকে আবার সাহায্য নেন সবজান্তা ‘গুগল’ বাবার। বিগত বছরগুলোতে ঘুম সংক্রান্ত কোন কোন প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে বেশি হয়েছিল এই সার্চ ইঞ্জিনকে?
১. কত ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন?
বিশ্ব জুড়ে মাসে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ গুগলের কাছে জানতে চেয়েছেন, দিনে কতক্ষণ বা কত ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বয়স যাদের, তাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত গুগলের। আর পূর্ণবয়স্ক মানুষদেরও অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন।
২. স্লিপ প্যারালাইসিস কী?
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ হাজার মানুষ প্রতি মাসে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন গুগলের কাছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ঘুমের মধ্যে হঠাৎই শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। পক্ষাঘাতে আক্রান্তেরা যেমন অসাড় হয়ে পড়ে থাকেন, তেমন ভাবেই ঘুমের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ নিঃশব্দে পড়ে থাকেন। স্বাভাবিক ঘুমের অভ্যাস নিয়মিত ভাবে বিঘ্নিত হলে স্লিপ প্যারালিসিস হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপ, স্ট্রেসও এর একটা বড় কারণ।
৩. কেন ঘুম আসছে না?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। চিকিৎসকের কাছে গেলে অনেক সময়েই তাঁরা এই সমস্যাকে রোগের পর্যায়ভুক্ত করে দেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, ঘুম না আসলে অন্য কোনও রোগের একটি লক্ষণ।
এসএম