অনলাইনে মিলবে বিএসএমএমইউর বহির্বিভাগের টিকিট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগের টিকিট অনলাইনেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগের রোগীরা যাতে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে পারেন, সেজন্য অনলাইনে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
সোমবার (৩ জুলাই) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে শিক্ষা, চিকিৎসাসেবাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
উপাচার্য বলেন, অনলাইনে যেন অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে পারেন, বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি শাখা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, রোগীদের সুবিধার্থে বিশেষ করে রোগীদের ভোগান্তি দূর করা ও অতিরিক্ত ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিদিনের প্রায় ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইন অ্যাপয়েনমেন্টে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শতভাগ নিশ্চিত করা, প্রতিটি বিভাগের বাৎসরিক ‘ইয়ারবুক’ তৈরি করা, হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসি থেকে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী ক্রয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ও অপারেশন কার্যক্রম আগামী ৫ জুলাই শুরু হবে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রথম দিনে অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ, জেনারেল সার্জারি বিভাগ (ব্রেস্ট ও ল্যাপারোস্কপিক) এবং অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের আর্থোস্কপিক ইউনিটের সার্জনরা এই অপারেশন কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকরা রোগী দেখা শুরু করেছেন। প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবলের কাছ থেকে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন সেবা গ্রহীতারা। এখানে ল্যাবরেটরি প্যাথলজি টেস্ট করা হচ্ছে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৮ জুন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৭শ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। এমআরআই ৫৫৬টি, সিটি স্ক্যান ৩১৩টি, বিএমডি ১১টি, বায়োকেমিস্ট টেস্ট ২০ হাজার ৩শ ৭৫টি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি ৩ হাজার ৪শ ৭৬টি, ভাইরোলজি ২ হাজার ২শ ৫০টি, হেমাটোলজি ২ হাজার ৯টি, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ৪ হাজার ৯শ ৮৩টি অর্থাৎ মোট ৩৩ হাজার ৯৩টি টেস্ট করা হয়েছে। এছাড়া ইসিজি ৮১টি, ইটিটি ৯টি সম্পন্ন করা হয়েছে।
টিআই/জেডএস