ডা. সংযুক্তা অনৈতিক কাজ করেছেন, ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে বিএমডিসি
ফেসবুক লাইভে এসে রোগীদের নিয়ে ডা. সংযুক্তা সাহার বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে বিএমডিসির শৃঙ্খলা কমিটি জানিয়েছে, অপারেশন থিয়েটার থেকে লাইভে এসে প্রচারণা সম্পূর্ণ অনৈতিক। ডা. সংযুক্তা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ করেছেন। তিনি সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে আসতে পারেন না।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কার্যালয়ে বিএমডিসির শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো চিকিৎসকই রোগীর কনসার্ন ছাড়া তার ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে সংযুক্তা সাহা যা করেছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
এ সময় আঁখি ও তার নবজাতকের ক্ষেত্রেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডা. সংযুক্তা সাহার নিবন্ধন নবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এহতেশামুল হক বলেন, ডা. সংযুক্তা সাহা নিবন্ধন নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন। তবে আবেদনের বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়, তার নিবন্ধন নবায়নের বিষয়টি ‘আপ হেল্ড’ করে রাখা হয়েছে। যদিও বিএমডিসি ওয়েবসাইটে ডা. সংযুক্ত সাহার নিবন্ধন আপডেট দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, ডাক্তার সংযুক্ত সাহার নিবন্ধন নেই বিষয়টি এমন নয়। তিনি বিএমডিসির নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু ২০১০ সালের পর নবায়ন করেননি। তিনি নবায়নের জন্য অতি সম্প্রতি দুই একদিনের মধ্যে আবেদন করেছেন। আমরা তার আবেদন বর্তমানে স্থগিত করে রেখেছি। আমরা দেখব, এই বিষয়ে আমাদের আইনে কী রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আজকের সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিএমএ মহাসচিব বলেন, গত ১৮ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এবং সেই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেগুলো আমরা বিএমডিসির নির্বাহী কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। নির্বাহী কমিটি যদি সেই বিষয়ে কোনো করণীয় প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তারা সেটা করবেন।
বিএমডিসির শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো আসে আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করে থাকি। সেখানে যদি কোনো আইনের ব্যত্যয় পায়, তাহলে সে আইন অনুযায়ী আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
প্রতিমাসে কেমন অভিযোগ আসে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, অভিযোগ বেশি আসছে না কম আসছে সেগুলো আমরা বিবেচনায় নেই না। তবে ইদানীং আমাদের এই শৃঙ্খলা কমিটি হওয়ার পরে আমরা প্রতি মাসে একটি সভা করি। শৃঙ্খলা কমিটি হওয়ার পরে প্রতি মাসেই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় অনেকের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হয়। অনেক কিছু আলামত গ্রহণ করতে হয়। এবং এক্সপার্ট ওপিনিয়নের জন্য কিছু কমিটিও গঠন করতে হয়। সবগুলো নিয়েই আমরা দ্রুততম সময়ে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করি।
টিআই/এমএ