বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসকদের মুখোমুখি ভিসিপন্থিরা
মাসিক ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এবার উপাচার্যপন্থিরাও অবস্থান নিয়েছে। তারা ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের বিএসএমএমইউ ছাড়তে বলছেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে বিশ্বিবদ্যালয়ের ভিসি কার্যালয়ের নিচে ভিসিপন্থিরা অবস্থান নেয়। এ সময় ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
ভিসির পক্ষে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই বিএসএমএমইউয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা জানান, যেসব চিকিৎসকরা ভিসির কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করছে, তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। এর প্রতিবাদেই আমাদের অবস্থান।
ভিসিপন্থিদের আন্দোলন প্রসঙ্গে নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসক ডা. তানভীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এসেছে। তাদের কোনো নির্দিষ্ট দাবি-দাওয়া নেই, তারপরও কেন আমাদের আন্দোলনের সময়েই তাদেরকে এখানে আসতে হবে? তারা এখানে কার ইশারায় এসেছে? কে তাদেরকে পাঠিয়েছে? এগুলো আমরা বুঝি।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণ চিকিৎসক, আমরা কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মী নই। আমরা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে আসিনি, এসেছি আমাদের পেটের দায়ে। তাহলে কেন আমাদের আন্দোলনে আরেকটি পক্ষকে পাঠানো হয়েছে? তারা চায় আমাদের আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। আমরা লিখিত প্রজ্ঞাপন ছাড়া বিএসএমএমইউ ছাড়ব না।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় চিকিৎসকরা ৫০ হাজার টাকা ভাতা দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একপর্যায়ে তারা অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন। এ সময় উপাচার্যের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের শান্ত করার চেষ্টা করা হলে সরাসরি তারা উপাচার্যের সাথে কথা বলতে চান। তাদের দাবি আদায় না হলে অবস্থানের ঘোষণা দেন।
টিআই/এমএ