গরমে মাইগ্রেনের ব্যথা : যেসব অভ্যাস না বদলালে বাড়বে যন্ত্রণা

রোদ থেকে ফিরেই প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা, সঙ্গে বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর। এই লক্ষণগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ কয়েকদিন থাকার কারণে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের মৌসুমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।
ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমন ধারণা ভুল। বরং আমাদের প্রতিদিনের অনেক অভ্যাসের ওপরও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। নিজের কোনো ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ঘুমে অনিয়ম
ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতেই হবে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমোন। দিনের পর দিন রাত জাগলে ঘুম কম হলে কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়বে।
চিনি
চিনি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথাও বাড়তে পারে।
খালি পেট রাখা
নির্দিষ্ট সময় অন্তর টুকটাক স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে থাকুন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকেও দায়ী। কাজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো
একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ? মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে পানি দিয়ে আসুন, বসার আসন থেকে উঠে ঘুরে আসুন।
শরীরে পানির ঘাটতি
গরমের দিনে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন হয়। এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই সঙ্গে পানি রাখুন। পানি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন ডাবের পানি, টাটকা ফলের রস খেতে পারেন। তবে সোডাযুক্ত নরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
জেডএস