মানসিক সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগমুক্তিতে পেয়ারার গুণাগুণ
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পেয়ারা ‘সুপার ফ্রুট’ নামে পরিচিত। দেশীয় এ ফলটি আমাদের দেশে সারাবছরই পাওয়া যায় এবং দামেও সহজলভ্য। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিভিন্ন রোগমুক্তিতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে পেয়ারা।
পেয়ারায় ভিটামিন সি, লাইকোপিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ পুষ্টি উপাদানগুলো হজম ঠিক রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মানসিক সমস্যাসহ হার্টের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দূর করতে উপকারী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া অনেকে ডায়রিয়া নিরাময়ে পেয়ারা পাতাও ব্যবহার করে থাকে। পেয়ারা খেলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য ঠিক থাকে, যার কারণে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ পেয়ারা এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাধা দেয়। এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পেয়ারা খেলে মানসিক চাপ প্রতিরোধ করা যায়। এ ফলটিতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশিকে শিথিল করে এবং মনকে শান্ত করে।
এছাড়া পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি হওয়ায় ক্ষুধা কমে যায় এবং মেটাবলিজম বাড়ে।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও দূর হয়। এছাড়া কচি পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে খেলেও সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকা যায়।
গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখলে অত্যন্ত উপকার পাওয়া যায়। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি ৯ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে উপকারী এবং স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধ করে।
এফকে