একজন ‘কাজ পাগল মানুষ’ শারফুদ্দিন আহমেদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অর্জন ও সাফল্যসমূহ তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক কর্মকর্তারা বলেন, উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ একজন ‘কাজ পাগল মানুষ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চিকিৎসা ও গবেষণায় দেশের স্বাস্থ্যখাতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
রোববার (১ জানুয়ারি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিট অফথালমোলজি বিভাগ এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা উপাচার্যের কর্মময় জীবনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, শারফুদ্দিন আহমেদ কর্মঠ, পরিশ্রমী, সময়ের প্রতি অত্যন্ত সচেতন একজন মানুষ ও দক্ষ সংগঠক। তিনি মিষ্টভাষী, সুবক্তা এবং তিনি জীবনে কারও সঙ্গে রাগ করে কথা বলেননি। চিকিৎসা পেশার মানোন্নয়ন ও চিকিৎসকদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে তার রয়েছে অসামান্য অবদান।
তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হয়েছে। সম্প্রতি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে এবং সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে কনসালটেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার হয়েছে বিশেষ করে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং, এন্টিবডি নিয়ে ধারাবাহিক গবেষণা কার্যক্রম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সময়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধে সব চাইতে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই করোনাভাইরাস মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। মানুষকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের আরও সুনাম বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রয়োজনে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসিগুলোর মেডিকেল এডুকেশনসহ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে গবেষণায় ব্যয় করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে এমএস কোর্স চালু করা হয়েছে। অন্ধত্ব দূরীকরণে আরওপি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। পিএইচডি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। শিগগিরই বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেটেশন বাস্তবায়ন করা হবে। রোবটিক সার্জারি চালু সময়ের দাবি, শিগগিরই তা চালু করা হবে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে শিক্ষার্থী ও ড্রাইভারদের চোখ পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চোখের রোগের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সামাজিক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, প্রোক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ আরও অনেকে।
টিআই/এমএ