আমরা চাই গবেষণায় সেরা হোক বিএসএমএমইউ : উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মেডিকেল শিক্ষা ও সেবার পাশাপাশি আমরা চাই গবেষণায় সেরা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, গবেষণার কাজে থিসিস লেখায় স্বচ্ছতা থাকা চাই। এজন্য সবার আগে কীভাবে থিসিস লিখতে তা জানানোর জন্য এ ধরনের সেমিনারের প্রয়োজন। গবেষণায় কাট কপি-পেস্ট করা যাবে না। থিসিস পেপার জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সুপারভাইজারদের পরামর্শ নেওয়া ও দেখানো উচিত। থিসিস পেপারে নকল ধরা পড়লে চাকরিও যাওয়ার মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ইনডেক্সিং করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি ইনডেক্সিং করা হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউয়ে গবেষণায় ‘থিসিস লিখন এবং কপি পরিহার (ওয়ার্কশপ অন থিসিস রাইটিং অ্যান্ড এভয়ডিং অব পেলগেরিজম)’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের চতুর্থ তলার লেকচার গ্যালারিতে এ কর্মশালার আয়োজন করে বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিক অনুষদ।
এ সময় উপাচার্য বলেন, গবেষণার কাজে তরুণ শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য দেশে প্রখ্যাত গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সহকারী অধ্যাপকদের কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া ও মূল্যায়ন করা হয় সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়া প্রয়োজন। তরুণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গবেষকদের কাজে লাগাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, গবেষণার দরজা যেন বন্ধ না করি। গবেষণার জন্য সব দরজা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই আমরা অবসরপ্রাপ্ত গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণার দুয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত করা আছে।
ডা. মো. শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, নিয়ম হলো প্রতি দশ বছর পর কোর্স কারিকুলাম আপডেট করা। বর্তমান কোর্স কারিকুলাম দশ বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমি চাই কোর্স কারিকুলাম আপডেট হোক। আমি শুরু করে যেতে পারলে হয়ত এটি শেষও হবে। কোর্স কারিকুলাম আপডেট করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল কোপাস ইন্ডেক্সিং করা হবে। এজন্য মানসম্পন্ন গবেষণা প্রয়োজন। এ কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
কর্মশালায় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক ‘টাইটেল অ্যান্ড অ্যাবস্ট্রাক্ট’, প্যাথোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান গবেষণার ‘ভূমিকা’, অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম গবেষণায় ‘রেজাল্ট অ্যান্ড ডিসকাশনস’ ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গবেষণায় ‘রেফারেন্সিং অ্যান্ড এভয়ডিং অব পেলগারিজম’ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান এবং সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/কেএ