বাংলাদেশে এল ডায়াবেটিস প্রতিরোধী ওষুধ
ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক, যার কারণে ধীরে ধীরে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। যত দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে সুগারের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত থাকে, জটিলতা ততই বাড়তে থাকে। যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তার মধ্যে হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, কিডনিজনিত সমস্যা অন্যতম।
আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, ডায়াবেটিসকে হৃদরোগের জটিলতার জন্য সাতটি প্রধান ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম বলে মনে করে। এছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
তবে এম্পাগ্লিফ্লোজিন এবং লিনাগ্লিপটিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি কিডনি রক্ষার কাজও করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কিডনিজনিত সমস্যা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় একমি ল্যাবরেটরিজের হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এম্পাগ্লিফ্লোজিন এবং লিনাগ্লিপটিনের অনন্য কম্বিনেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
‘এমলিনো’ নামের এই ওষুধটি সম্প্রতি বাজারে এনেছে একমি। সারাদেশে এটি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ রাফিউল বাশার রাব্বী। তবে এই ওষুধটি ইনসুলিনের বিকল্প নয় বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ‘ডায়াবেটিস ব্রেক থ্রু’ নামে একটি সায়েন্টিফিক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘এমলিনোর’ সৌজন্যে। এতে দেশের খ্যাতনামা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে আজাদ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডা. এসএম আশরাফুজ্জামান, বারডেম হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি ও ডায়াবেটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আমিন, ডা. সুলতানা রেহেনা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, সহকার অধ্যাপক ডা. রুশদা শারমিন বিনতে রউফ, চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. শাহানা পারভীন, রেজিস্ট্রার ডা. কাজী নাজমুল হোসেন এবং একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এর জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনসহ আরও অনেকে।
টিআই/জেডএস