ডাক্তারের নির্দেশ না মেনে বাড়ি নেওয়া শিশুর মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ
চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে অসুস্থ অনেক শিশুকেই হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। যাদের হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় না, তাদের চেয়ে নিয়ে যাওয়াদের মৃত্যুঝুঁকি দ্বিগুণ।
সম্প্রতি চাইল্ডহুড অ্যাকিউট ইলনেস অ্যান্ড নিউট্রিশনের (চেইন) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। গবেষণায় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশি এ প্রতিষ্ঠানটি।
চিকিৎসা নির্দেশনা অনুসরণ করা সত্ত্বেও চেইন গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির ৩০ দিনের মধ্যে মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত হৃষ্টপুষ্ট শিশুদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া শিশুরাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে। চেইন গবেষণায় দেখা গেছে, নিবন্ধিত সকল মৃত্যুর অর্ধেক হাসপাতাল ছাড়ার পর ঘটেছে।
কিছু সংখ্যক অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যে শিশুরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাসপাতাল ত্যাগ করেনি, তারা তাদের চেয়ে দ্বিগুণ মৃত্যুর ঝুঁকিতে ছিল।
অপুষ্ট শিশুরা শুধুমাত্র খাবারের অভাবেই রোগে ভোগে না। তাদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও মৃত্যুঝুঁকি তাদের পরিচর্যাকারীর সামাজিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির দ্বারাও প্রভাবিত হয়।
‘অসুস্থ ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করা’ শীর্ষক গবেষণায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পেশাজীবী, নীতি নির্ধারক ও সমাজের সবার জন্য পৃথক সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গবেষণায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, মারাত্মক সংক্রমণ ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় এবং এসব রোগের পরবর্তী সময়ে শিশু মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকি দেখতে পাওয়া যায়।
চাইল্ডহুড অ্যাকিউট ইলনেস অ্যান্ড নিউট্রিশন (চেইন) নেটওয়ার্ক তাদের গবেষণায় আফ্রিকার চারটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশে মোট নয়টি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ থেকে ২৩ মাস বয়সী অসুস্থ শিশুদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করে।
টিআই/আরএইচ