‘আমি কোনো পদক চাইনি, মানুষের সেবা করতে চেয়েছি’
দেশের কিডনি চিকিৎসায় কিংবদন্তিতুল্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। সৃষ্টি ও স্রষ্টার সেবাই যার ধ্যানজ্ঞান। অনেকটা নীরবে এই মহান চিকিৎসক মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের কিডনি রোগীদের জন্য তিনি যেন এসেছেন বিশেষ দূত হয়ে। এরইমধ্যে বিনা পয়সায় এক হাজার ৭০টি কিডনি প্রতিস্থাপনের অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি।
চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য গুণী এই চিকিৎসককে এবছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সরকার।
পুরস্কারপ্রাপ্তির সংবাদের পর ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। জানিয়েছেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তার ভাবনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানভীরুল ইসলাম।
ঢাকা পোস্ট : দেশের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য আপনি মনোনীত হয়েছেন। কেমন লাগছে?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : আমি কখনোই এমন পুরস্কার চাইনি। কাজ করে যাচ্ছি মানুষের সেবায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এসব স্বীকৃতি, পদক আর সুনামের কথা শুনলে ভয় লাগে, দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে সব দিয়ে দিচ্ছেন কেন! দুনিয়াতেই যদি সব পেয়ে যাই, তাহলে তো আখিরাতে খালি হয়ে যাব। এই ভয়টাই আমরা কাজ করে। কিন্তু মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে এমনিতে ভালো লাগে। সেই সঙ্গে যদি কাজের স্বীকৃতি মেলে, সেটা আরও আনন্দের ব্যাপার। আর স্বীকৃতিটা যদি সরকার থেকে আসে, সেটি তো আরও বড় ব্যাপার।
ঢাকা পোস্ট : দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী? আপনার দৃষ্টিতে কেমন হওয়া উচিত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : স্বাস্থ্যখাত বলতে যারা চিকিৎসা সেবা দেন, ডাক্তার এবং যারা চিকিৎসা সেবা নেন, রোগী- এই দুটি শ্রেণি এখানে অন্তর্ভুক্ত। আমার কাছে মনে হয়, এ দুই শ্রেণিরই বোঝার কিছু ভুল আছে। আমরা যদিও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উপরে উঠছি, তারপরও তো আমাদের অনেক মানুষ এখনো গরিব। এই মানুষদের চিকিৎসা সেবার চিন্তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আমরা যারা চিকিৎসক রয়েছি, আমরা যদি একজন রোগীর কাছ থেকে বেশি টাকা না নিয়ে দুইজন রোগী দেখি তাহলে আমাদের একটু কষ্ট হলেও গরিব মানুষদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। আমার মুখ্য বিষয় এটাই, যাতে গরিব মানুষ সেবা পায়। আমি যদি এক রোগী থেকে এক হাজার টাকা ভিজিট না নিয়ে দুই রোগী থেকে ৫০০ টাকা করে ভিজিট নিই তাহলে তো রোগীরা আরেকটু স্বস্তি পেতে পারেন। একইভাবে আমরাও যদি একটু বেশি সময় দিই, সমপরিমাণ টাকা আমাদের আয় হয়ে যাবে।
আরও দেখুন : বিনা পারিশ্রমিকে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন ডা. কামরুল
আমাদের রোগীদেরও কিছু করণীয় আছে। চিকিৎসকদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছে করে খারাপ কিছু করেন না। কোনো মা-ই যেমন তার সন্তানের খারাপ চান না, তেমনি কোনো চিকিৎসকও তার রোগীর খারাপ চান না। তবে অনিচ্ছাকৃত ভুল হতেই পারে। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
দেশে যেসব কর্পোরেট হাসপাতাল রয়েছে, সেগুলোর দরকার আছে। কারণ, আমাদের বিত্তবানরা সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে চান না। কর্পোরেট হাসপাতাল না থাকলে তারা হয়তো দেশের বাইরে চলে যেতেন। আমি মনে করি, স্বাস্থ্য সেবা ব্যক্তি তার পছন্দমতো নেবেন, কিন্তু গরিব মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য সেবাকে আরও সহজলভ্য করা উচিত। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও রোগীদের প্রতি আরেকটু সহনশীল হওয়া উচিত। এই জায়গাগুলোতে একটু কাজ করলে আমাদের স্বাস্থ্য সেবা আরও সুন্দর হবে। আর আমার প্রত্যাশাও এমন একটি স্বাস্থ্য খাত, যেখানে গরিব-অসহায় রোগীরা ভরসার জায়গা খুঁজে পাবে।
ঢাকা পোস্ট : সরকারি হাসপাতালে রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা পায় না। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বলছে, ৮৬ শতাংশ রোগীই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসায় নির্ভরশীল। সরকারি হাসপাতাল ও রোগীদের মধ্যে এ দূরত্ব কীভাবে কমানো যায়?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : আমাদের একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না বা রোগীরা সেবা পায় না। এটা একদমই ভুল ধারণা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অনেক সেবা দেওয়া হয়, যা আমরা বুঝতে পারছি না। হাসপাতালগুলো যদি এক বা দুইদিন বন্ধ থাকে, তাহলেই আমরা বুঝতে পারব কী পরিমাণ সেবা সরকারি হাসপাতালে দেওয়া হয়। তবে সেবার মান ও পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিষয়টা নিয়ে বসে চিন্তা করতে হবে। কীভাবে অন্য দেশগুলো রোগীদের সেবা দিচ্ছে, কীভাবে পার্শ্ববর্তী বড় রাষ্ট্রগুলোতে সরকারি হাসপাতাল কাজ করছে তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কিন্তু আমার যতটুকু ধারণা, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর সেবা অনেক ভালো। আমাদের যে ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামটি রয়েছে, সেটি খুবই ভালো। এছাড়া শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার খুবই কম। সংক্রামক রোগগুলো আমরা প্রায় নিয়ন্ত্রণেই নিয়ে এসেছি। এখন যদি আমাদের সেবা কমই থাকে, তাহলে এগুলো কমল কী করে? স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের সফলতাগুলো কীভাবে আসছে?
কাজেই আমার কাছে মনে হয়, কাউকে দোষারোপ না করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
ঢাকা পোস্ট : সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়াতে কী পরামর্শ দিতে চান? জনবল কি পর্যাপ্ত রয়েছে?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : আমরা সবাই জানি আমাদের হাসপাতালগুলোতে শয্যার তুলনায় অনেক বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। বিশেষ করে একটা হাসপাতালে যদি মানসম্মত চিকিৎসকই না থাকে, তাহলে সেখানে জনগণই বা গিয়ে কী সেবা পাবে?
আরও দেখুন : কিডনি রোগের যে ৭ লক্ষণ অবহেলা করবেন না
আমি যতটুকু জানি, ঢাকায় সারা দেশ থেকে রোগীরা এসে ভিড় জমান। কিন্তু এগুলোতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক নেই। পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও বাড়াতে হবে। কারণ, চিকিৎসা সেবাটা শুধু ডাক্তারের কাজ নয়। সবধরনের সাপোর্ট পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলেই সেখানে ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।
ঢাকা পোস্ট : আপনি অনেক গরিব-অসহায় মানুষকে বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ব্যাপারটা আপনার কেমন লাগে? কেন আপনার এ উদ্যোগ?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : আসলে বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিষয়টি আমি ওভাবে উপস্থাপন করি না, করতেও চাই না। শুধু একটা কথাই বলব, এই কাজে আমি আনন্দ পাই। কারণ, একজন লোক যদি আমার কাছে চিকিৎসা সেবা পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন, আমি মনে করি আমার স্রষ্টাও তখন আমার প্রতি সন্তুষ্ট হন।
আমি শুধু বিনা পারিশ্রমিকে কিডনি প্রতিস্থাপনই করি না, আমাদের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন পরবর্তী যে ফলোআপগুলো হয়, সবগুলোই বিনামূল্যে করি। এমনও রোগী আছেন যিনি ১০ বছর ধরে আমাদের এখানে আসছেন, প্রতি মাসে ফলোআপ করাচ্ছেন। শুধু ফলোআপই নয়, আমরা তাদের সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বিনামূল্যে করে থাকি।
আরও দেখুন : কিডনি চিকিৎসার নায়ক কামরুল মেডিকেলে হয়েছিলেন দেশসেরা
সরকার যেহেতু আমাকে একটা স্বীকৃতি দিয়েছে, দেশের জনগণ যেহেতু আমাকে এত ভালোবাসে, এখন তো কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হয়ে গেলাম আরও বেশি। আমার এখন মনে হচ্ছে, এসব কাজ যথেষ্ট নয়, আমাকে এখন থেকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আমিও চাই আমার বাকি জীবনটা দেশের কিডনি রোগীদের জন্য যেন উৎসর্গ করে দিতে পারি, আপাতত আমার এটাই ভাবনা।
পাশাপাশি আমাদের দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসায় যে জিনিসগুলো নেই, সেগুলো যেন আমাদের দেশে চালু হয়, মানুষকে যেন আরও বেশি করে সেবা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করে যাব। আমার তো এখন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সময়।
ঢাকা পোস্ট : মানুষকে তো অনেক কিছু দিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে আপনার কোনো চাওয়া বা অপূর্ণতা আছে কি?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি। এখন আর কিছু পেতে ইচ্ছে করে না। এখন আমরা চাওয়া এতটুকুই, যেন আমাদের সেবাটা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের সেবাটা আরও সুন্দরভাবে করতে চাই।
ঢাকা পোস্ট : তরুণ চিকিৎসকদের প্রতি আপনার কী বার্তা বা পরামর্শ থাকবে?
অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম : আমাদের মেডিকেল সার্ভিসটা একটু কঠিন। এখানে পরিশ্রমটা একটু বেশি করা লাগে। মেধা, শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সেক্রিফাইস করতে হয় সময়। সুতরাং তরুণ চিকিৎসকদের অবশ্যই সেসব বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। আর দ্বিতীয় বিষয় হলো- অবশ্যই আমাদের লক্ষ্যটা ঠিক রাখতে হবে। আমরা কী চাই, কী করতে চাই সেটা আগে ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যটা অবশ্যই উচুঁতে স্থির করতে হবে। আমাদের কাজগুলো পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশগুলো কীভাবে করছে? ওরা যদি করতে পারে, আমরা কেন পারব না? এরকম একটা দৃঢ়চেতা লক্ষ্য রাখতে হবে।
আমাদের মেডিকেল সার্ভিসটা একটু কঠিন। এখানে পরিশ্রমটা একটু বেশি করা লাগে। মেধা, শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সেক্রিফাইস করতে হয় সময়। সুতরাং তরুণ চিকিৎসকদের অবশ্যই সেসব বিষয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে
তৃতীয় বিষয় হলো- ‘আমরা পারব না’- এই ব্যাপারটা মন থেকে উঠিয়ে দিতে হবে। অন্যরা যদি পারে, আমরাও পারব। এই তিনটা জিনিস মনে রেখে কাজ করলে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
এক নজরে অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিতার অনুপ্রেরণা আর মানবসেবায় ব্রত হয়ে চিকিৎসাসেবা বেছে নিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম। তিনি আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক কর্মকর্তা এবং পাবনার ঈশ্বরদীর আমিনপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম আমিনের মেজো সন্তান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামীহারা এসএসসি পাস করা মা রহিমা খাতুন তার চার ছেলেকে মানুষ করার জন্য এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আবার পড়াশোনা শুরু করেন। এইচএসসি পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সমাজবিজ্ঞানে ১ম স্থান অধিকার করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮১ সালে রহিমা খাতুন ঢাকার লালমাটিয়া মহিলা কলেজে যোগদান করেন। মেজো ছেলে কামরুল ইসলাম ঈশ্বরদী উপজেলার চন্দ্র প্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৩তম স্থান অর্জন করেন। ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখানেও দশম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮২ সালে তখনকার ৮টি মেডিকেল কলেজের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেলে অধ্যয়ন শুরু করেন।
ঢাকা মেডিকেল থেকে ১৯৮৯ সালে পাস করে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন ১৯৯০ সালে। পরবর্তীতে একাদশ বিসিএসে ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। প্রথমে তিনি ঢাকা মেডিকেলে যোগদান করেন।
২০০৭ সাল থেকে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু
ডা. কামরুল ইসলাম ইউরোলজিতে ৫ বছর মেয়াদি এমএস প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন এবং জাতীয় কিডনি ও ইউরোলজি হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করেন। সরকারি হাসপাতালের নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি ২০১১ সালে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
২০১৪ সালে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস (সিকেডি) অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। করোনা মহামারির মধ্যে গণস্বাস্থ্য কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার ছাড়া যখন সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিসসহ কিডনি রোগীদের সেবা বন্ধ ছিল, তখন সিকেডি হাসপাতাল তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে।
বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে ৪টি করে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। যা দেশের অন্য যেকোনো হাসপাতালের তুলনায় বেশি। ন্যূনতম নির্ধারিত খরচ বাদে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্জনের কোনো ফি নেন না অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। রোগীদের ফলোআপ পরীক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পরীক্ষা-নীরিক্ষার খরচ ও রিপোর্ট দেখার খরচও নেন না তিনি।
টিআই/আইএসএইচ/ওএফ/জেএস