নৌকার মাঝি হতে চান সুপ্রিম কোর্টের ৪০ আইনজীবী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। চলতি মাসেই (নভেম্বর) ঘোষিত হতে যাচ্ছে নির্বাচনের তফসিল। ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেক আগে থেকে নিজ নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অনেক আইনজীবীও।
নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে সুপ্রিম কোর্টের শতাধিক আইনজীবী মাঠে নেমেছেন। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় পেলেই তারা ছুটে যাচ্ছেন এলাকায়। গরিব-অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। করছেন গণসংযোগও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালাচ্ছেন সরব প্রচারণা।
আরও পড়ুন
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের পাশাপাশি তরুণ আইনজীবীরাও রয়েছেন। এখন পর্যন্ত যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন— সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, অ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ, ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব, ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস, ব্যারিস্টার সুব্রত কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট ড. মোহাম্মদ জগলুল কবির, অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম, ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি, অ্যাডভোকেট দিদার হোসেন রিজভী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির
ঢাকা-১০ আসন থেকে মনোনয়ন চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। আগামী নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের নাম শোনা যাচ্ছে।
মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক, সাবেক সম্পাদক, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কারানির্যাতনের শিকারও হয়েছেন।
অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু
পাবনা-২ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাও ছিলেন এ আইনজীবী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতা বুদুর গাড়িবহরে গুলি, ভাংচুর ও সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগে মন্ত্রিপুত্র শিহরণ শরীফ তমালকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। অ্যাডভোকেট বুদু বর্তমানে এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনাকারী কমিটির সদস্য এ আইনজীবী নেতা।
অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে অনেক আগে থেকে মাঠে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য ও ঈশ্বরগঞ্জ আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য। এছাড়া, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (আইইউলা) উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা করছেন শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি আগে থেকেই নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন।
আরও পড়ুন
অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বলেন, আমি মনে করি এলাকার উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে এ আসন তাকে উপহার দিতে পারব।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন
সাতক্ষীরা- ১ (তালা-কলারোয়া) আসনে নৌকার মাঝি হতে চান ক্লিন ইমেজধারী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি রীতিমতো মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ ও পথসভায় অংশ নিচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বেশ আশাবাদী। তালা-কলারোয়ার প্রতিটি সভা-সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকেন। এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যান।
অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আবদুন নুর দুলাল। এলাকায় তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমি আমার জনপদের মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করতে চাই। দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এবং জনগণের উন্নয়নে সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।
ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে রূপগঞ্জের প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। দলীয় সব কর্মসূচি সফল করতে ভূমিকা রাখছেন। রাজধানী ঢাকায় প্রতিটি দলীয় কর্মসূচিতে বড় বড় মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন। গরীব ও অসহায় মানুষকে দুই হাতে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। এ আসনের বর্তমান এমপি পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলএলএম ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুলা) সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া, ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যারিস্টার শামীম আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ আসনে যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করে আনতে সক্ষম হব।’
ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এস এম কফিল উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইন উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য। এলাকায় তিনি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। কয়েক বছর ধরে বোয়ালখালী-চান্দগাঁও এলাকায় নানা সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন তিনি।
ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে যদি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দুঃখ কালুরঘাট সেতু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। চট্টগ্রাম- ৮ আসনের কোনো মানুষ যেন নির্যাতিত না হয়, অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সবাই যেন সুবিচার পান— সেটা আমি নিশ্চিত করব। এ ছাড়া, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমার নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব। চট্টগ্রাম- ৮ আসনকে একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলব।
অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী
অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ঢাকা-১৮ আসন থেকে মনোনয়ন চান। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ছিলেন। ঢাকার সন্তান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে একাধিকবার কারানির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এ ছাড়া, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দুবার সদস্য ছিলেন।
অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম
ঢাকা-৪ আসন (শ্যামপুর-কদমতলী) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। তিনি ঢাকা-৪ আসনের দুবারের সাবেক এমপি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যও। নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে টকশোতেও সরব এ নারীনেত্রী।
ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার ইমন উচ্চ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা বিচারের সময় বর্তমান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়ান। তিনি সাবেক এমপি আবদুর রইসের পুত্র। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের দুবার প্রশাসকও ছিলেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার ইমন এলাকার মানুষের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব (মুন্না)। তিনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব দীর্ঘদিন ধরে সমাজ সেবামূলক নানা কাজ করে আসছেন। আসছে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে উন্নয়ন কাজ এবং সমাজ সেবায় বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, নাগরপুর-দেলদুয়ার এলাকার মানুষের পাশে থেকে অবদান রাখতে চাই। শিক্ষা, দরিদ্রতা ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবহেলিত এ দুই উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
অ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজিব
বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মো. সাফায়াত হোসেন সজিব। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে এ নেতা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে চান। তার প্রত্যাশা, যদি দল তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি বরিশাল- ৩ আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদান, জনকল্যাণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানামুখী কাজে সম্পৃক্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ওই আসনের নৌকা প্রতীক পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করছিলেন তিনি। এবার তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম
ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার ও নাগরপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তরুণ এ ব্যারিস্টার যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন।
অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। তিনি চাঁদপুর মতলব থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এলাকায় বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত তিনি।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সুমন অনেক আগে থেকে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত। নিজ উদ্যোগে এলাকাতে বহু ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। সময় পেলেই তিনি ছুটে যান নিজ এলাকায়। এ আসনের বর্তমান এমপি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এবং বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।
ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নেত্রীর বিবেচনায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এজন্য তিনি এলাকায় কাজ করছেন। এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জগলুল কবির
ঢাকা- ৪ আসন (শ্যামপুর-কদমতলী) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মোহাম্মদ জগলুল কবির। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলী। এ এলাকার তৃণমূলের মানুষ আমাকে চান। মনোনয়ন পেয়ে যদি সংসদ সদস্য হতে পারি তাহলে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে থাকব এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।
ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ
ময়মনসিংহ- ২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ। এলাকায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এ তরুণ ব্যারিস্টার জানান, গত ১৩ বছর ধরে নিয়মিত এলাকার সব মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে এলাকায় যান এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত হন।
ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান
ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান বাগেরহাট- ৩ (রামপাল-মোংলা) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুহসীন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিনি। নির্বাচনের লক্ষ্যে এলাকায় গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রম করে চলেছেন।
অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুল হক
অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুল হক কৃষক লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সুযোগ পেলে পটুয়াখালী- ৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এ আসনের বর্তমান এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফজলুল হক জানান, বিগত তিনটি নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। এরপরও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি। তিনি ময়মনসিংহ- ৩ ( গৌরীপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। রাজপথে থেকে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন।
অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী- ১ আসন (ডোমার-ডিমলা) থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আশায় এলাকায় দলীয় কার্যক্রমসহ গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে ডোমারে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে আসছেন। সামাজিক ও অন্যান্য কাজেও সম্পৃক্ত তিনি।
অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাশ
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশ। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ- ২ (দিরাই-শাল্লা) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। সুবীর নন্দী দাশ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সহ-সম্পাদক। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এলাকাতে মাঝে মাঝেই ছুটে যান।
বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে যারা মনোনয়ন পাচ্ছেন
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এমএইচডি/