বেড়েছে অভিযোগ, কমেছে মামলা-চার্জশিট
করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। সময় কঠিন হলেও নানা কৌশলে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি থেমে নেই। অন্যান্য বছরের মতো ২০২২ সালেও দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং ক্ষেত্রবিশেষ উল্টো চিত্র চোখে পড়েছে।
গত বছরের (২০২১ সাল) তুলনায় চলতি বছর অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়লেও দায়ের করা মামলা ও চার্জশিটের হার কমেছে। আসামির তালিকায় নেই আলোচিত বড় কোনো দুর্নীতিবাজ
নানা প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান, অনুসন্ধান ও তদন্তে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। গত বছরের (২০২১ সাল) তুলনায় চলতি বছর অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়লেও দায়ের করা মামলা ও চার্জশিটের হার কমেছে। আসামির তালিকায় নেই আলোচিত বড় কোনো দুর্নীতিবাজের নাম।
আরও পড়ুন >>প্রধানমন্ত্রী আমার মা, আমাকে আরেকটি সুযোগ দিন : শরীফ
২০০৪ সালে গঠিত কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান, ইকবাল মাহমুদ ও মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। কিন্তু দুদকের ভাবমূর্তি তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও বর্তমান কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক দুদককে একটি কার্যকর এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য ভীতিকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করেন।
আরও পড়ুন >>অর্থপাচারের সব অপরাধ তদন্তে আইন সংশোধনে চাপ দুদকের
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘দুদক নখ-দন্তহীন বাঘ, এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে তেমন কিছু আশা করা যায় না— এমন নেতিবাচক মন্তব্য শোনা গেলেও এখন সেই অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। এখন দুদক একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি ভীতিকর প্রতিষ্ঠানও বটে।’
‘যারা দুর্নীতি করে, সহায়তা করে— দুদকের নজরদারিতে তারা রয়েছেন। যারা অনুসন্ধান ও তদন্তের মধ্যে আছেন, তারা জানেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের ক্ষেত্রে দুদক কতটা হিংস্র। কাজেই দুদককে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। দুদক একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে বাধা দেওয়ার শক্তি কারও নেই। আশা করছি, দুদকের যে ম্যান্ডেট, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সেই লক্ষ্য যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে মানুষ দুদককে স্বাগত জানাবে।’
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। এ সময়ে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫৪টি বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১২টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছে। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক সম্পদের নোটিশ জারি করেছে ৮৯টি। অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭৬টি মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ১৬২টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে
বেড়েছে অভিযোগ, কমেছে মামলা-চার্জশিট
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। আলোচিত সময়ে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫৪টি বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১২টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছে। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক সম্পদের নোটিশ জারি করেছে ৮৯টি। অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭৬টি মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ১৬২টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৮টি মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন >>দুদকের ধার গেল কই?
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এর হার প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
ওই সময়ে (২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত) ৩২৬টি অভিযোগের অনুসন্ধান করে দুদক। ২৪৪টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি বা নথিভুক্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক সম্পদের নোটিশ জারি করে ১৯৩টি। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৩১১টি মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয় কমিশন। পাশাপাশি ২২২টি মামলার চার্জশিটও দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৮০টি এফআরটি’র (মামলা থেকে অব্যাহতি) ঘটনা ঘটে।
আলোচিত ঘটনা
দুদক কর্মকর্তা শরীফকে অপসারণ ও আন্দোলন
অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) ধারায় পটুয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
স্মারকলিপিতে মো. শরিফ উদ্দীনকে দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গড়ায়। আজও শরীফ তার চাকরি ফিরে পাননি। এখনও বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় আছে
কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন অপসারণ ও বিতর্কিত ৫৪ (২) ধারা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে দুদকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্দোলনের নামেন তার সহকর্মীরা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শরীফকে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সংস্থাটির ২১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন তারা। একই সঙ্গে প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা এক স্মারকলিপি সচিব বরাবর পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে মো. শরিফ উদ্দীনকে দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গড়ায়। আজও শরীফ তার চাকরি ফিরে পাননি। এখনও বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন >> অর্থ লুটপাটকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত : হাইকোর্ট
অন্যদিকে, শরীফের ইস্যু ধরে দুদকে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা)। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা করে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মশিউর রহমানকে সভাপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩১ সদস্যের অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়।
হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে শিব শঙ্কর হালদার নামে সেখানে বসবাস করতেন। তিনি ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডও সংগ্রহ করেন। তাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় বিষয়টি এখনও আটকে আছে
ক্যাসিনো থেকে পি কে হালদার কেলেঙ্কারি
২০১৮ সালে ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে উত্থাপিত অর্থ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রায় ঝিমিয়ে পড়া কেলেঙ্কারির ঘটনাটি হঠাৎ চাঙা ও পুনরায় আলোচিত হয় যখন পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হন। চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পাঁচ সহযোগীসহ পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন >>সাকিবকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ‘রাখবে না’ দুদক
হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে শিব শঙ্কর হালদার নামে সেখানে বসবাস করতেন। তিনি ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডও সংগ্রহ করেন। তাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় চিঠি চালাচালি হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় বিষয়টি এখনও আটকে আছে।
আলোচিত পি কে হালদারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৪টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতের ২৩টি মামলা এবং এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতের ১৩টি মামলা রয়েছে।
৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলার প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল হয় ২০২১ সালের নভেম্বরে।
বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে না দুদক। অথচ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বড় দায় নিতে হয় সংস্থাটিকে। এ কারণে তদন্ত ক্ষমতা পুনরায় ফিরে পেতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় দুদকের তফসিলভুক্ত যেকোনো অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষমতার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়েছে সংস্থাটি
আলোচিত পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পি কে হালদারের সহযোগী শংখ বেপারি, রাশেদুল হক, অবন্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাইসহ আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অর্থপাচার : তদন্তের ক্ষমতা পেতে তোড়জোড়
ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অর্থপাচারের পরিমাণ বাড়ছে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। গড়ে প্রতি বছর পাচার হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। কেবল ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
আরও পড়ুন >>৬ মাসে দুর্নীতিবাজদের ৬৮২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক-ফ্রিজ
বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে না দুদক। অথচ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বড় দায় নিতে হয় সংস্থাটিকে। এ কারণে তদন্ত ক্ষমতা পুনরায় ফিরে পেতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় দুদকের তফসিলভুক্ত যেকোনো অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষমতার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়েছে সংস্থাটি।
কারণ হিসাবে দুদকের দাবি, বিদ্যমান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৭টি সম্পৃক্ত অপরাধের মধ্যে শুধু একটির (দুর্নীতি ও ঘুষ) অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। বাকিগুলো করছে সরকারের ৬টি সংস্থা সিআইডি, এনবিআর, বিএসইসি, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কাস্টমস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। অথচ ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের শুরুতে সব সম্পৃক্ত অপরাধ থেকে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান ও তদন্তের একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ছিল দুদক।
আরও পড়ুন >> পি কে হালদারকে দেশে আনলে ধরা পড়বে রাঘববোয়ালরাও
দুদকের ক্ষমতা না থাকায় পানামা পেপারস, প্যারাডাইস পেপারস, পেন্ডোরা পেপারস, মালয়েশিয়ার মাই সেকেন্ড হোম প্রকল্প, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থপাচারের মতো অনুসন্ধান-তদন্ত করা যাচ্ছে না— দাবি দুদকের।
আগামী বছর (২০২৩ সাল) দুর্নীতিবাজদের জন্য কী মেসেজ দিতে চান— এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামী বছর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করব। আমরা মেসেজ দিতে চাই, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে ছাড় পাওয়া যাবে না। তিনি রাজনৈতিক কিংবা নিরপেক্ষ যে-ই হোন না কেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরএম/এসকেডি/এমএআর/