বাস্তবায়ন অর্ধেকও নয়, খরচ প্রায় দ্বিগুণ চায় মন্ত্রণালয়
• এক সভাতে কাটছাঁট ৩৫০ কোটি টাকা
• ২৬ মাসের প্রকল্প ঠেকছে ৫০ মাসে
• প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৩৮.৭০ শতাংশ
• চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ পাইনি : পিডি
• সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি : সচিব
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবনায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) এক সভাতেই প্রস্তাবিত ব্যয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকা কাটছাট করার নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবনায় মোট ৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা কমিশনের একটি সূত্র বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি না থাকলেও খরচ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গতিশীলতা বাংলাদেশে বেশি। নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পগুলো শেষ হচ্ছে না। টেনে নেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর। একই দশা পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের। ২ বছর ২ মাসে যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল, সেটি এখন ৬ বছর ২ মাসে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খরচ ৪১৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২০ কোটি টাকা করার জন্য বলা হয়েছে প্রস্তাবনায়। প্রকল্পটি গত দুই বছর দুই মাসে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। অথচ এই সময়ে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল।
সূত্র আরও জানায়, সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক করতে পারেনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এখন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে করোনাকে বাধা ও জনবল নিয়োগে বিলম্ব হিসেবে উল্লেখ করছে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাঙ্গামটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকায় শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক সেবা পৌঁছানোর জন্য সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় পার্বত্য এলাকায় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ওইসব এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্য অর্জনের লক্ষ্যে মৌলিক সেবার সুযোগ এবং মা ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
তিন পার্বত্য এলাকার ১২১টি ইউনিয়নের সাথে ৪ হাজার পাড়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি একনেক থেকে যখন অনুমোদন দেওয়া হয় তখন এর মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন। কিন্তু ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে প্রকল্পের ব্যয় সাড়ে ৭ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এর ফলে ওই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও একবছর বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি চলমান অবস্থাতেই নতুন করে কাজ যুক্ত করা হয়। ৫শ নতুন পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ, আড়াই হাজার পাড়াকেন্দ্র মেরামত, ২৮টি মডেল পাড়াকেন্দ্র স্থাপন, ৩টি গুদাম, ৫শ ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ ভেন্যু নির্মাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৯৩.১৭ শতাংশ বা ৩৯৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮২০ কোটি টাকা। আর বাস্তবায়ন মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অর্থাৎ আরও ৩ বছর ২ মাস বৃদ্ধির আবদার করা হয়েছে।
প্রকল্পে কাজের এলাকা ও নতুন করে বেশ কিছু কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী
প্রকল্পটি সংশোধনের কারণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি ও জনবল নিয়োগের বিলম্বের কারণে প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সম্পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা ও স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজারটি পাড়াকেন্দ্রে পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠক এবং আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্টাফদের বকেয়া বেতন প্রদান করতে হবে। এছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধিতে বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নতুন করে কাজ অন্তর্ভুক্ত করায় ব্যয় বরাদ্দ সংশোধন, নতুন করে ৫০৩টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-প্রধান তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বিভিন্ন খাতের খরচে প্রকল্প সাহায্য বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এবং সহযোগী সংস্থার সম্মতিপত্র বা চুক্তিনামা দাখিল করা হয়নি ডিপিপিতে। প্রকল্পে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ খরচে বরাদ্দ ছিল ২১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এছাড়াও অনাবাসিক ভবন নির্মাণ খাতে বরাদ্দ ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। বরাদ্দের চেয়ে ব্যয় বেশি করা হয়েছে; যা আর্থিক বিধি বিধানের পরিপন্থি।
সংশোধনী প্রস্তাবনায় প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে বলা হয়েছে, চার হাজার পাড়াকর্মী, ৪শ মাঠ সংগঠক ও ৩০৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে, ৪৮ হাজার শিশুর শিশু বিকাশ ও প্রাক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে, চার হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে, চার হাজার পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ১০১টি শিশুবান্ধব ল্যাট্রিন, ১৩১টি নিররাপদ পানির উৎস স্থাপনের মাধ্যমে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পানি ও পয়ঃব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ২৫টি মডেল পাড়াকেন্দ্রে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই পাড়াকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান।
এছাড়াও এক হাজার ৩৪৮টি পাড়াকেন্দ্র মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তিন জেলায় এ পর্যন্ত ৩টি কিশোর-কিশোরী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, এক হাজার পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠক এবং ৫০ জন কর্মকর্তার শিশু লালন-পালনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ৩০ জন কর্মকর্তা ও ৪শ’ জন মাঠ সংগঠককে স্বল্পমূল্যের ও বিনামূল্যের শিক্ষা উপকরণ তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ৮৫০ জন কিশোরী লিডারের কিশোরীদের পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ৩৮৯ জন প্রতিস্থাপিত পাড়াকর্মীর মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ৩০ জন কর্মকর্তা ও ৪শ মাঠ সংগঠক কেইস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তিন জেলার ডিসিসি সদস্যদের ইসিডি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, ১২টি ডিসিসি, ১০৪টি ইউজেডসিসি এবং ৪৮৪টি ইউএনসিসি সভার আয়োজন করা হয়েছে, ৭৭৫ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতাদের ইসিডি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, ৮২৫ জন পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠককে পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, দুর্যোগকালীন সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার নিমিত্তে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সাথে যৌথভাবে ৭টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও উপ-সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পিইসি সভায় বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আরডিপিপিটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরডিপিপিটি আরও যাচাই-বাছাই করে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ফেইজের প্রকল্পে যারা আগে কাজ করেছিল তাদের যেন আবার নেওয়া হয়। তাদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলা হয়েছে। আর এই কাজটি করতে সময় লেগেছে। বিশেষ করে আমরা চাহিদা মতো অর্থ বরাদ্দ পাইনি।
প্রকল্পের সময় ও খরচ বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে পিডি বলেন, প্রকল্পে কাজের এলাকা ও নতুন করে বেশ কিছু কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আছে।
এক দফায় এতো পাড়াকেন্দ্র বাড়ালে আপনারা এটাকে ম্যানেজ করতে পারবেন না। উনারা খুব জোর দিয়ে বলছিল পাড়াকেন্দ্রের সংখ্যাটা বাড়ানোর ব্যাপারে। কিন্তু আমি বলেছি ১৯৯৩ সাল থেকে এই কাজগুলোর কখনোই শতভাগ কাভারেজ হয়নি
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদ্য সাবেক সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ
পিইসি সভায় বলা হয়েছে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। আর ব্যয় ৩৫০ কোটি টাকা কমিয়ে ৪৭০ কোটি টাকা করার নির্দেশনা দিয়েছে পিইসি। পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ীই ডিপিপি সংশোধন করে আবার পাঠানো হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদ্য সাবেক সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আলাদা আলাদা নাম নিয়ে প্রকল্পটির একই কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আগামীতেও চলবে। এই প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজই পাড়াকেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা। সংশোধনীতে পাড়াকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেক। আমি পিইসি সভায় বলেছি, এক দফায় এতো পাড়াকেন্দ্র বাড়ালে আপনারা এটাকে ম্যানেজ করতে পারবেন না। উনারা খুব জোর দিয়ে বলছিল পাড়াকেন্দ্রের সংখ্যাটা বাড়ানোর ব্যাপারে। কিন্তু আমি বলেছি ১৯৯৩ সাল থেকে এই কাজগুলোর কখনোই শতভাগ কাভারেজ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘পিইসি সভায় আমি পাড়াকেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। যে কাজগুলো এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলো বাদ দিয়েছি। তারা সংশোধনী প্রস্তাবে অনেক ট্রেনিং যুক্ত করেছিল, সেগুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সুতরাং ট্রেনিং বাড়িয়ে লাভ নেই, সময় মতো প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার তাগিদ দিয়েছি।’
সচিব আরও বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে কোনো প্রকল্পই সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। এই জাতীয় প্রকল্পগুলোর দায়িত্বে থাকে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কিন্তু এর ম্যানেজমেন্ট অনেক জায়গায়। চিটাগাং হিল ট্র্যাক ডেভলপমেন্ট বোর্ডের সাথে আরও দুই থেকে তিনটা সংস্থা আছে। এগুলোর সাথে সমন্বয় সেভাবে নেই। এই অভ্যন্তরীণ সমন্বয়টা দুর্বল হওয়া বা না থাকাই এখানকার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান কারণ। ওখানে একটা পাড়াকেন্দ্র তিন-চার জায়গা থেকে সাপোর্ট পায়। সুতরাং এগুলো চাইলেও কেউ সমাধান করতে পারবে না।’
এসআর/এনএফ