অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পোয়াটিয়ে আর নেই
অস্কার বিজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পোয়াটিয়ে ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। জাতিগত বিভেদ ভেঙে লিলিস অফ দ্যা ফিল্ড চলচ্চিত্রে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার জিতেছিলেন।
বাহামার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ইউজিন টরশন-নিউরি পোয়াটিয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
পোয়াটিয়ে একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র কিংবদন্তী হয়ে উঠেন যখন ১৯৬৭ সালে এক বছরেই তার তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো অংশে বর্ণ বিভাজন বিরাজ করছিল।
গেস হু’স কামিং টু ডিনার চলচ্চিত্রে তিনি এমন একজন কৃষ্ণাঙ্গ লোকের চরিত্রে অভিনয় করেন যার বাগদত্তা একজন শ্বেতাঙ্গ নারী। হিট অফ দ্যা নাইটে তিনি ভার্জিল টিবস নামক এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি একটি হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বর্ণবাদের সম্মুখ্খীন হন। এছাড়াও, পোয়াটিয়ে সেই বছর টু স্যার, উইথ লাভ চলচ্চিত্রে লন্ডনের একটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন যেখানে কড়াকড়ি ভাবে নিয়ম পালন করা হতো।
পোয়াটিয়ে ১৯৬৩ সালে লিলিস অফ দ্যা ফিল্ড চলচ্চিত্রের জন্য তার ঐতিহাসিক শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। সেখানে তিনি একজন ফাইফরমাশ খাটা ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেন যিনি মরুভূমিতে জার্মানির সন্ন্যসীনিদের একটি চ্যাপেল তৈরিতে সাহায্য করেন। তার পাঁচ বছর আগে পোয়াটিয়েই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ লোক ছিলেন যিনি ডিফায়েন্ট ওয়ান্স চলচ্চিত্রের কারণে প্রধান চরিত্রের অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
১৯৭৪ সালে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ পোয়াটিয়েকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি জাপান ও জাতিসংঘের সংস্কৃতি-বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোতে বাহামার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি ওয়াল্ট ডিজনি কোং-এর পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৯ সালে পোয়াটিয়েকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেন।
২০১৪ সালের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি পোয়াটিয়ের ঐতিহাসিক অস্কার বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী ছিল, যেখানে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার প্রদানের জন্য তিনিই উপস্থিত হয়েছিলেন।
ওএফ