বিজয়ের ‘লাইগার’ ঝড় শুরু
কথা রেখেছেন নির্মাতারা। বছরের শেষদিন প্রকাশ্যে এসেছে ‘লাইগার’-এর ঝলক। সেই ঝলকেই লুকিয়ে চমক। ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে নেটপাড়ায়। গত ২৯ ডিসেম্বর মোশন পোস্টারের সাহায্যে জানানো হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বরেই ছবির কিছু ঝলক প্রকাশ্যে আসবে প্রথমবারের মতো। আর মাত্র একদিনের মধ্যেই সেই ঝলক দেখে ফেলেছেন ২ কোটিরও বেশি মানুষ।
সেই সঙ্গে ইউটিউবেও রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন তেলেগু ছবির সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা। ভক্তদের অশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন- ‘আই লভ ইউ’।
এই ছবিতে ‘অর্জুন রেড্ডি’খ্যাত তেলগু সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ড ছাড়াও রয়েছেন চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা অনন্যা পাণ্ডে। ‘লাইগার’-এর হাত ধরে তেলেগু ছবির জগতে প্রবেশ করেছেন অনন্যা।এই ছবি বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যৌথ প্রয়াসে তৈরি হচ্ছে। দুই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা প্রযোজনা সংস্থা ও তারকা খচিত। ফলে একেও বলা যেতে পারে দুই ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে তৈরি শক্তিশালী হাইব্রিড ছবি। যদিও কতখানি সফল হবে, তা দর্শকের বিচারের অপেক্ষা রাখে।
ছবির অন্যতম প্রযোজক করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা, অপূর্ব মেহতা, চার্মি কৌর, হিরু যশ জোহর ও ছবির পরিচালক পুরী জগন্নাথ। বক্সার মাইক টাইসনও অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। যদিও ক্যামিও চরিত্রেই দেখা যাবে তাকে।
২০২২ সালের ২৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ছবিটি। ঠিক চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৫ আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল বিজয় দেবেরাকোন্ডার ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’, যা রাতারাতি তাকে স্টার করে তুলেছিল গোটা দেশে। ওই একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘লাইগার’ও। তবে কবীর সিং মুক্তি না পেলে হয়ত এতখানি জনপ্রিয়তার মুখ দেখতে পেত না ‘অর্জুন রেড্ডি’।
কাকে বলে ‘লাইগার’?
এটি একটি প্রাণী। পুরুষ সিংহ (প্যান্থেরা লিও) ও বাঘিনীর প্রজননের ফলে যে প্রাণীর জন্ম হয়, সেই প্রাণীই আসলে লাইগার। সিংহের শরীরে যদি ডোরাকাটা থাকে, যেমন দেখতে লাগবে, এই প্রাণীকেও তেমনই দেখতে। প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্রসব্রিড’। ছবির ক্ষেত্রেও তেমনটাই মনে করছেন অনেকের। তেলেগু ও হিন্দি ছবির জগতের ‘ক্রসব্রিড’ ছবি বলা হচ্ছে একে।
তেলেগু ছবিতে বিজয়ের প্রবেশ ঘটে পরিচালক রবি বাবুর ছবি ‘নুভিলা’র হাত ধরে। শেখর কামুলার ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ ছবিতে কাজ করেন। নাগ অশ্বিনের ‘ইয়েবাদে শুভ্রমন্যম’ ছবিটি তেলেগু ছবির জগতে বিজয়ের পরিচিতি তৈরি করে। পরবর্তীকালে তরুণ ভাস্করের পরিচালিত ‘পেল্লি ছোপুলু’ বিরাট জনপ্রিয়তা লাভ করে।
হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা বিজয় সেখানকারই উপভাষায় কথা বলে সকলের নজরে এসেছিলেন ‘পেল্লি ছোপুলু’তে। ছবির প্রয়োজনে অনায়াসেই বাচনভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারেন বিজয়। তাঁর ‘ট্যাক্সিওয়ালা’ ছবিটি হরর। ছবিটি ভালই ব্যবসা করেছে দক্ষিণে। তাকে শেষ দেখা যায় ক্রান্তি মাধবের ছবি ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লাভার’-এ।
এর আগে দক্ষিণের বহু অভিনেত্রী বলিউডে এসে নিজের জায়গা পাকা করেছেন। কিন্তু অভিনেতাদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটতে দেখা যায়নি। ‘অর্জুন রেড্ডি’ জনপ্রিয় হওয়ার পর বিজয়ের মতো তারকারা সারা দেশের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১৪ বিলিয়ন। মহিলাদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বলিউড তারকা সারা আলি খান, জাহ্নবী কাপুররাও বিজয়ের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার আসন্ন ছবি ‘লাইগার’ নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
এইচকে