পরীমণি সাহসী, তার পাশে আছি : নচিকেতা
মন ভালো নেই পরীমণির। বাঁচার আশাই যেন হারিয়ে ফেলেছেন। সে কথা একমাত্র বুঝতে পেরেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। তাই কি তার গান শুনে সাহস ফিরে পেতে চাইছেন এ অভিনেত্রী? সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) নায়িকা ফেসবুকে গায়কের ২০১৭ সালের গান ‘এত সাহস কার’ শেয়ার করেছেন। যে গানের প্রতিটি পঙক্তি যেন পরীমণির কথা বলে। বিষয়টি শোনার পরেই নচিকেতার মন্তব্য, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে পরীমণিকে ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন। তার দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী, যা খুব সহজ নয়। যা করছেন বেশ করছেন তিনি।’
বোট ক্লাবকাণ্ডের পর মাদক মামলায় ২৭ দিনের কারাবাস মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে পরীমণিকে। তবুও তিনি লড়ছেন। তার সেই লড়াইয়ের নেপথ্য শক্তি, নানা শামসুল হক গাজীর লেখা একটি চিঠি এবং নচিকেতার গান। যে গানে শিল্পী বলেছেন, ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে, এত সাহস কার?.... তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’
ইতোমধ্যেই পরীমণির সেই পোস্ট দেখেছেন হাজার হাজার নেটিজেন। সে প্রসঙ্গে নচিকেতার বক্তব্য, ‘আমি জানি পরীমণি আমার গান শোনেন। পছন্দও করেন। আমি ওর অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, সবার বোঝা উচিত, অভিনেত্রীরও ‘না’ বলার অধিকার আছে। সেই ‘না’ উচ্চারণ করেই তিনি আজ এত বিপাকে। এটা ওর দোষ নয়। সমাজের দোষ। একই সঙ্গে তিনি দুষেছেন গণমাধ্যমকেও। নচিকেতার অভিযোগ, সমাজের মতোই এক চক্ষু সংবাদমাধ্যমও। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে নড়ে বসেছে। অভিনেত্রীর হয়ে কয়জন মুখ খুলছে? নচিকেতার আরও আক্ষেপ, সমাজের এ ধারা সব জায়গাতেই সমান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের ছবিও এক। নইলে নুসরাত জাহানকে নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হতো না।
নচিকেতা উদাহরণ দেন ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালা সিন্হার। বলেন, ‘সেই সময় ওকে শুনতে হয়েছিল, ওর যাবতীয় উপার্জন নাকি বেশ্যাবৃত্তি করে হয়েছে। সমাজ বরাবর নিজের জোরে উপরে উঠতে থাকা নারীদের গায়ে কালি মাখিয়ে তাদের নিচে নামিয়েছে।’ পরীমণিকে তার খোলা বার্তা, ‘আপনাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’
সূত্র: আনন্দবাজার
এসএসএইচ