সেন্সর আপিলেও প্রত্যাখ্যাত ইমরান-অর্ষার ‘সাহস’
তরুণ নির্মাতা সাজ্জাদ খান নির্মিত ‘সাহস’ সিনেমাটিকে গত জুনে প্রদর্শন অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। এবার সেন্সর বোর্ডে করা সিনেমাটির আপিল আবেদনটিও প্রত্যাখ্যাত হলো।
জানা যায়, সিনেমাটি পুনরায় দেখার জন্য সেন্সর বোর্ডের কাছে আবেদন করা হলে বোর্ড সেই আপিল আবেদনটি নাকচ করে দিয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আপিল নাকচের কথা উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধনী, ২০০৬) এর ৪বি (১) ধারা লংঘন করে আপিল আবেদন দাখিল করায় নাকচ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশে সিনেমাটির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধারা অনুযায়ী সেন্সর বোর্ড থেকে এটি সেন্সর আবেদন বাতিলের প্রজ্ঞাপনের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়। সিনেমার প্রযোজক নিপা মাল্টিমিডিয়ার সেলিনা বেগম ওই সময়ের মধ্যে আবেদন না করায় তা গ্রহণ করা হয়নি।
জানা যায়, ‘সাহস’ প্রদর্শনের অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল গত ১৪ জুন। আবেদন করার সময়সীমা ছিল ১৪ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু তারা তা করেছেন নির্ধারিত সময়ে পরে। ফলে আপিল আবেদনটি নাকচ হয়ে গেছে।
গত ১৬ জুন চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ড সচিব মো. মমিনুল হক বলেছিলেন, ‘এতে অশ্লীল সংলাপ, গালাগালি ও ভায়োলেন্স রয়েছে। এর পরিমাণ এত বেশি যে এটি সেন্সর করতে গেলে ছবিতে আর কিছু থাকবে না। আর কাহিনির ধারাবাহিকতাও নেই। তাই এটি প্রদর্শনযোগ্য নয়।’
পরিচালক সাজ্জাদ খানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাহস’। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাগেরহাটে বেশ গোপনে সিনেমাটির শুটিং করেছিলেন তিনি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান ও নাজিয়া হক অর্ষা।
আরআইজে