বিয়ের প্রস্তাবে ভরে গেছে অরুণিতার মেইল বক্স!
কয়েকদিনে হলো ইন্ডিয়ান আইডল সফর শেষ করেছেন অরুণিতা কাঞ্জিলাল। বর্তমানে তিনি বনগাঁ আছেন। নিজের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে শিগগির মুম্বাই যাবেন। তাই কয়েক দিন পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন।
ইন্ডিয়ান আইডল ১২-এর মঞ্চে অরুণিতা ও পবনদীপের রসায়ন ছিল নজরকাড়া। দুই জন একসঙ্গে অনেক গানও গেয়েছেন। রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে দুজনের ভালোবাসার গল্পও লেখা হয়েছিল। সেই গল্প কতটা সত্যি না পুরোটাই সাজানো তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে অরুণিতা-পবনদীপ দুজনের মতেই তারা খুব ভালো বন্ধু।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে পবনদীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ইন্ডিয়ান আইডলের সফর ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন অরুণিতা। তিনি জানান, পবনদীপ বিজয়ী হওয়ায় তার এতটুকুও খারাপ লাগা নেই।
অরুণিতা বললেন, ‘কখনও মনে হয়নি, আমরা একে অপরের প্রতিযোগী। দুজনই গানটাকে ভালোবেসেই কাজ করতাম। পবনদীপের সঙ্গেই আমি সবচেয়ে বেশি ডুয়েট গেয়েছি…ফাইনালে যারা ছিল প্রত্যেকেই বিজয়ী হওয়ার যোগ্য। পবনদীপ জয়ী, তাতে আমরা খুশি। অন্য কেউ হলেও একই প্রতিক্রিয়া হতো।’
এত প্রশংসা চারিদিকে, প্রেমের প্রস্তাব পাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে অরুণিতা বললেন, ‘প্রচুর আসে, ই-মেইলে তো লোকজন সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেখানে বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর দেয়। লিখে, তোমায় বিয়ে করব… এগুলো দেখে কিন্তু খুব মজা লাগে।’
মায়ের কাছেই প্রথম সংগীত শিক্ষা শুরু অরুণিতার। বাবা-মা কোনোদিন কিছু চাপিয়ে দেননি, এখনও দেন না। তাই প্রতিযোগিতা জেতার চাপ কোনোদিন ছিল না- জানান অরুণিতা।
অপর এক সাক্ষাত্কারে অরুণিতা বলেছেন, ‘এতো বড় বড় শিল্পীরা এই শো-তে এসেছে। স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তাদের সামনে গান গাইতে পারব। এ আর রহমান স্যার যখন এসেছিলেন, তখন তো গোটা শো জুড়ে নিস্তব্ধতা ছিল। আশাজি তো আমার আইডল। ওনার মুখ থেকে আমার সম্পর্কে একটা শব্দ শোনাও আমার কাছে অনেক। উনি বলেছিলেন- তোমাকে কেউ থামাতে পারবে না। এটা শোনার চেয়ে বড় পাওয়া আর কী বা হতে পারে?’
এমএইচএস/আরআইজে