পরীমণির বিয়ে ও বাগদানের গল্প
মডেলিং দিয়ে শুরু, এরপর নাটকে অভিনয় করে মিডিয়ার অলি-গলি চেনা, সবশেষে সিনেমায় এসে দেশজুড়ে পরিচিতি পাওয়া; চিত্রনায়িকা পরীমণির ক্যারিয়ারের সমীকরণটা এমনই। ২০১১ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। এর চার বছর পর ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন।
এ পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি সিনেমায় দেখা গেছে পরীমণিকে। এর মধ্যে ‘স্বপ্নজাল’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’র জন্য বেশ প্রশংসিত হন তিনি। যদিও তার অভিনীত কোনো সিনেমাই পায়নি ব্যবসায়িক সাফল্য। তবুও একের পর এক সিনেমা এসেছে তার হাতে।
পেশাগত কাজের চেয়ে পরীমণি বেশি পরিচিতি পেয়েছেন তার ব্যক্তিগত নানা কর্মকাণ্ডে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তার বিয়ে ও বাগদান। সুদর্শনা এ নায়িকা দুটি বিয়ে করেছেন বলে শোনা যায়। আর একটি বাগদানের গল্প তো কম-বেশি সবারই জানা।
২০১৬ সালের দিকে ফেসবুকে কিছু ছবি ভাইরাল হয়। যেগুলোতে পরীমণিকে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। শোনা যায়, ওই ব্যক্তির নাম ফেরদৌস কবীর সৌরভ। যিনি একজন ফুটবলার। তার সঙ্গে ২০১২ সালে পরীর বিয়ে হয়েছিল। তাদের বিয়ের কাবিননামার ছবিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও ওই বিয়ের কথা অস্বীকার করেছিলেন পরী। এমনকি উল্টো ক্ষেপে গিয়ে লাগামহীন নানা বক্তব্যও দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের ১০ মার্চ পরীমণি দ্বিতীয় (তার মতে প্রথম) বিয়ে করেন। বরের নাম কামরুজ্জামান রনি। তিনি একজন সহকারী পরিচালক। মাত্র কয়েক দিনের পরিচয়ে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। নাটকীয় সেই বিয়েতে তারা মাত্র ৩ টাকা কাবিন করেছিলেন। বিয়ের পর পরীমণি বলেছিলেন, কাবিন কোনো বিষয়ই না। পারস্পরিক সম্পর্কটাই আসল। রনিকে বিয়ে করে তিনি উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পরই তাদের সম্পর্কের বিষয়টা আড়াল হতে থাকে। এক পর্যায়ে পরী জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আর বিয়েটাও সিরিয়াসলি করেননি।
এ তো গেল বিয়ের গল্প। এবার আসা যাক পরীর জমকালো বাগদানের ঘটনায়। ২০১৬ সাল থেকেই সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে পরীর প্রেম শুরু হয়। নিজেদের প্রেম তারা দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করেছেন। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনে তামিমের সঙ্গে পরীর বাগদান সম্পন্ন হয়। তখন তারা বলেছিলেন, পরবর্তী বছরের ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করবেন। এরপর তারা একসঙ্গে মালদ্বীপে গিয়ে অবকাশ যাপন করে আসেন। কিন্তু কিছু দিন যেতেই শোনা যায়, তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে পরী বরাবরই বাধাহীন মুক্ত পাখির মতো। নিজের যখন যা ইচ্ছে হয়েছে, তাই করেছেন। সেটা কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো হোক কিংবা বিয়ে। এসব বিষয়ে তিনি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন, সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু গায়ে মাখেননি কিছুই।