ববিতার জন্মদিনে শাকিবের শুভেচ্ছা ও আক্ষেপ!
দেশের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রী ববিতা। ষাটের দশক থেকে তিনি সিনেমায় কাজ করে আসছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পাওয়া তিনিই দেশের প্রথম অভিনেত্রী। এছাড়া অস্কারজয়ী কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের মতো পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। সুতরাং ববিতার কর্মপরিধি কতখানি বিস্তৃত, তা পরিমাপ করা অসম্ভব বটে।
আজ ৩০ জুলাই ববিতার জন্মদিন। আর বিশেষ এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন দর্শক ও সিনে অঙ্গনের মানুষেরা। তবে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদাভাবে ববিতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশসেরা নায়ক শাকিব খান। তিনি তার শুভেচ্ছাবার্তায় প্রকাশ করেছেন আক্ষেপও!
শাকিবের মতে, ববিতার মতো নন্দিত অভিনেত্রীদের নিয়ে এই সময়ে সিনেমা হওয়া উচিৎ। যেমনটা পাশের দেশ ভারতেও নিয়মিত হয়। শাকিব বলেছেন, ‘ষাট, সত্তর, আশির দশকে পাশের দেশের সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ঘিরে কতো কতো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে; অথচ ববিতা ম্যাডামদের মতো গুণী অভিনয়শিল্পীদের আমরা পরবর্তীতে আর ব্যবহারই করতে পারলাম না! তাদের জন্য যুতসই গল্প-চরিত্র নির্মাণ করতে পারলাম না!’
ববিতার জন্মদিনে আশা প্রকাশ করে শাকিব বলেন, ‘হয়তো এসব আফসোসও একদিন ঘুচবে। অন্তত ববিতা ম্যাডামের জন্মদিনে এমন প্রত্যাশাই জানিয়ে রাখলাম।’
শাকিব খান জানান, শূন্য থেকে তার আকাশচুম্বী সাফল্যের পথে যে’কজন অভিভাবকের স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন, তাদেরই একজন ববিতা। কিং খানের মতে, যে কোনো পেশাতেই চড়াই-উৎরাই থাকে। কিন্তু পরামর্শ দেয়ার সঠিক মানুষটি পেলে চড়াই-উৎরাই মোকাবিলা করা যে কারো জন্য সহজ হয়ে যায়।
শুভেচ্ছাবার্তায় শাকিব আরও লিখেছেন, ‘অনস্ক্রিনে অসংখ্যবার দর্শক তাকে আমার মায়ের ভূমিকায় দেখেছেন, অথচ অফস্ক্রিনেও তিনি আমার কাছে তেমন একজন মমতাময়ী মা। দেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষের কাছে তো বটেই, বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসেও যার নাম ডাক। কমার্শিয়াল সিনেমার পাশাপাশি ভিন্নধারার সিনেমাতেও তিনি ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত। তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হননি এমন প্রজন্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই সত্তরের দশকেই ববিতা ম্যাডাম বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ঘুরেছেন। বাংলা সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই সময়ে দেশের সব গুণী নির্মাতাদেরও পছন্দের তালিকায় ছিলেন আমাদের ববিতা ম্যাডাম। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের মতো পৃথিবীখ্যাত নির্মাতার সিনেমাতেও।’
ববিতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় জানিয়ে শাকিব লিখেছেন, ‘বহুদিন তিনি সিনেমা থেকে দূরে। তার সাথে আমার প্রায়ই কথা হয়। বর্তমান সিনেমার খোঁজ খবর নেন। আগের মতোই মমতাময়ী মায়ের কণ্ঠে সঠিক দিকনির্দেশনা দেন। তার মতো গুণী অভিনয়শিল্পীর সাথে কথা বলতে বলতে মাঝেমধ্যে নিজেদের ব্যর্থতার কথাগুলোও স্মরণ করি।’
কেআই