প্রথমে ভেবেছিলাম সৃজিতের নামে ফেইক অ্যাকাউন্ট: বাঁধন
ক’দিন আগেই তিনি মাতিয়ে এসেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসব। ফ্রান্সের বিখ্যাত সেই আয়োজনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। কুড়িয়েছেন প্রশংসা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে নতুন চমকে হাজির তিনি। এবার প্রজেক্ট ভারতের। নাম ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। নির্মাণ করেছেন দেশটির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
নামটা নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন সবাই। হ্যাঁ, তিনি আজমেরী হক বাঁধন। যার বন্দনায় শব্দের ফুলঝুরি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে। আগামী ১৩ আগস্ট ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজটি।
কিন্তু কীভাবে এই সিরিজটির সঙ্গে যুক্ত হলেন বাঁধন? সৃজিত মুখার্জির সঙ্গেও বা আলাপ হলো কীভাবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেন অভিনেত্রী নিজেই। তিনি বললেন, ‘সৃজিতের সঙ্গে আমার আগে পরিচয় ছিল না। কখনোই কথা হয়নি। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে মেসেজ পাঠায়। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সৃজিতের নাম করে কোনো ফেইক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন করছে। কারণ তার মতো একজন পরিচালক কেনই বা তার সিরিজে আমাকে নেবেন? তবে ধীরে ধীরে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং বুঝতে পারি ঘটনা সত্যিই।’
বাঁধন জানান, ওয়েব সিরিজটির প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে ফেলেন তিনি। বাঁধন বলেন, ‘সৃজিত আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। এই চরিত্রটাকে ঠিক করে বোঝানোর ক্ষেত্রে। আসলে আমার কাছে ভালো অভিনেতা বলে কিছু নেই, ভালো পরিচালকে আমি বিশ্বাস করি। একজন ভাল পরিচালক, অভিনেতার থেকে সেরাটা বের করে নেন। আমি তাই পুরোটাই বিশ্বাস করেছি সৃজিতের ওপর। কলকাতায় যখন গিয়েছিলাম, তখন সারাদিন আমার হাতে চিত্রনাট্য থাকত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৃজিত আমার সঙ্গে রিহার্সাল করেছেন। আসলে আমি নিজেকে ভাল অভিনেত্রী বলব না। বরং পরিশ্রমী অভিনেত্রী বলব।’
এই ওয়েব সিরিজে কাজের ক্ষেত্রে সৃজিত মুখার্জি প্রধানতম কারণ বলে জানিয়েছেন বাঁধন। এছাড়া মুসকান জুবেরির চরিত্রে অভিনয়ের লোভটাও সামলাতে পারেননি অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ সিরিজটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশি লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। থ্রিলার ধাঁচের এই গল্পে বাঁধনই আছেন মূল চরিত্রে। তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ চক্রবর্তী, রাহুল বোস প্রমুখ।
কেআই