‘এত অভাব ছিল যে, লবণ দিয়ে রুটি খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম’
ভারতের টিভি পর্দার ভীষণ জনপ্রিয় মুখ ভারতী সিং। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের মুখে হাসি। বলা চলে, ভারতের স্ট্যান্ডআপ কমেডির সম্রাজ্ঞী তিনি। তবে এই তুমুল জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের পেছনে রয়েছে অবর্ণনীয় সংগ্রামের গল্প। বিভিন্ন সময়েই নিজের ছোটবেলার অভাব-অনটনের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
সম্প্রতি মনীশ পালের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন ভারতী সিং। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভীষণ অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি আমি। একসময় প্রতিদিন খাবার জুটত না। আমার দাদা একটি দোকানে কাজ করতেন। মা ও দিদি কম্বল বুনতেন। আমি সেসময় হোস্টেলে থাকতাম। ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করত না। সেই অন্ধকার ঘর। সেই না খেয়ে থাকার ভয়। এত অভাব ছিল যে, মাঝেমধ্যে আমরা সবাই লবণ দিয়ে রুটি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।’
ভারতী সিং ও মনীশ পাল একই সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। দু’জনেই এসেছেন একেবারে ছোট পরিসর থেকে। স্ট্রাগলের সময়ে তারা একে-অপরকে সহযোগিতা করতেন। মনীশ জানান, ন্যাশনাল লেভেল শ্যুটার ও আর্চার ছিলেন ভারতী।
এ প্রসঙ্গে ভারতী জানান, তার এসব এখন বিশ্বাস করতেও অবাক লাগে। অ্যাথলেটিক্স সাধারণত রোগা-পাতলা মানুষের খেলা। সেখানে স্থূলকায় ভারতী কীভাবে খেলতেন! খেলার সময়কার স্মৃতিচারণ করে এই কমেডিয়ান বলেন, অনুশীলনের সময় সরকার থেকে আমাদের খাবার দিত। রোজ ১৫ টাকা করে পেতাম। তার মধ্যে ৫ টাকার একটা কুপন দিয়ে জুস খেতাম যাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অনুশীলন করতে পারি। বাকি কুপন জমিয়ে রেখে দিতাম। মাসের শেষে সেগুলো জমা দিয়ে বাড়ির সকলের জন্য ফল আর জুস নিয়ে আসতাম। এখনও মনে আছে বাড়ির সবাই ওই ফলের আশায় বসে থাকত। আমরা গোল করে বসে থাকতাম। কখন এক টুকরো ফল খেতে পারব।’
কেআই/আরআইজে